Tuesday 10 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মেট্রোরেলে টিকিট সংকট, ফের ইস্যু হচ্ছে ২০ হাজার নতুন পাস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:১৯ | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:৩২

ঢাকা মেট্রোরেল

ঢাকা: চলতি মাস ডিসেম্বরেই আরো ২০ হাজার একক যাত্রার টিকিট ইস্যু করতে যাচ্ছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একক যাত্রার টিকিটের সংকট কাটাতেই নতুন এই কার্ড ইস্যু করা হচ্ছে। যদিও নভেম্বরে নতুন ২০ হাজার কার্ড স্টেশনগুলোতে যুক্ত হয়েছে। এর আগে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানিয়েছিলেন মেট্রোরেলের দুই লাখেরও বেশি একক যাত্রার টিকিট যাত্রীরা সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়ায় টিকিট সংকট দেখা দেয়। এই কার্ড সংকটে স্টেশনগুলোতে প্রায়ই বন্ধ থাকে টিকিট ভেন্ডিং মেশিন (টিভিএম)।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে দেখা গেছে, কার্ড সংকটের কারনে তিনটি টিভিএম এর কখনো কখনো দুইটি বন্ধ রাখা হয়। আবার একটি বন্ধ দুইটি খোলা। কর্মীরা জানান, একক যাত্রার কার্ড নেই তাই এই মেশিন চালানোর প্রয়োজন হচ্ছেনা। আবার কোনো কোনো স্টেশনে একক যাত্রার কার্ড না থাকায় শুধু এমআরটি পাস ও র‍্যাপিড পাসধারী যাত্রীদের মেট্রোরেলে চড়তে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন মেট্রোরেলের সাধারণ যাত্রীরা।

ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, মেট্রোরেল যখন চালু হয় তখন স্টেশনগুলোতে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৪১টি একক যাত্রার কার্ড দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এক বছর ৯ মাস পর গত অক্টোবর মাসে জানানো হয় ২ লাখের বেশি একক যাত্রার কার্ড হারিয়ে গেছে। কারণ হিসেবে বলা হয়, যাত্রীরা অনেক কার্ড সঙ্গে নিয়ে গেছেন, আবার কিছু কার্ড নষ্ট হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তখন প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে যাওয়া কার্ডগুলো যাত্রীদের ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানায়। এজন্য মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে একটি করে বক্সও দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে অক্টোবর মাসে কার্ডের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০ হাজার। যদিও তখন গড়ে প্রতিদিন এক লাখের বেশি যাত্রী মেট্রোরেলে ভ্রমণ করছিলেন। ফলে কার্ড সংকট আরও দৃশ্যমান হয়। পরে সংকট মোকাবিলায় ডিএমটিসিএল নতুন করে একক যাত্রার কার্ড সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়। নতুন উদ্যোগে ৪ লাখ নতুন কার্ড অর্ডার করা হয় জাপানে। এর মধ্যে প্রথম ২০ হাজার কার্ড গত নভেম্বর মাসে দেশে আসে।

বিজ্ঞাপন

এ প্রসঙ্গে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ এর প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়া সারাবাংলাকে বলেন, কার্ড নেই বলে যাত্রীদের দেয়া যাচ্ছেনা। ফলে মেশিন ওপেন রাখারও দরকার হয়না। তিনি বলেন, দুই লাখের বেশি কার্ড মিসিং। আবার অনেক যাত্রী ট্রেনে বসেই টিকিট বাঁকা করেন। এতে টিকিটের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়।

যাত্রীদের কাছে কার্ড ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানানো হলেও তা ফেরত পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, প্রথম দিকে এমআরটি পাসসহ ৩ লাখ ১৪ হাজার টিকিট আনা হয়েছিল। সেখান থেকে এখন টিকিট আছে মাত্র ৪০ হাজার। অথচ প্রতিদিন লাখের ওপরে যাত্রী চলাচল করে। সেজন্যই এবার আরো ২০ হাজার কার্ড ইস্যু করা হচ্ছে। এ মাসের ১৬ তারিখে ২০ হাজার টিকিট দেশে আসার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এটা মাসের শেষের দিকে হাতে পাওয়া যাবে।

সুত্রে জানা গেছে, জাপান থেকে টিকিট তৈরি করে। কিন্তু কার্ডের প্রিন্ট করে ইন্ডিয়া। সব মিলিয়ে নতুন মোট ৪ লাখ টিকিট কেনা হচ্ছে। এর মধ্যে নভেম্বরে ২০ হাজার টিকিট পাওয়া গেছে। ১৬ ডিসেম্বর ২০ হাজার টিকিট আসার পর আবার ২৮ ডিসেম্বর আরও ৩০ হাজার টিকিট আসার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এতে করে সামনের মাসের মধ্যে সংকট কেটে যাবে বলে জানিয়েছে ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ।

সারাবাংলা/জেআর/এনজে

ইস্যু কার্ড মেট্রোরেল সংকট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর