ঢাকা: রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর কয়লাঘাট এলাকার একটি বাসায় সামিয়া আক্তার সুগন্ধা (১৭) নামে এক স্কুলছাত্রীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। সে হতাশাগ্রস্ত হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
স্বজনরা মেয়েটির মরদেহ উদ্ধার করে মধ্যরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক রাত দেড়টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্বজনরা জোরপূর্বক মরদেহ বাসায় নিয়ে আসেন। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে সকালে সেই বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের মর্গে পাঠায়।
কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিম সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, সোমবার রাতে কামরাঙ্গিরচড়ের বাসায় গলায় ফাঁস দেয় ওই শিক্ষার্থী। স্বজনরা তাকে দ্রুত ঢামেকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্বজনরা মরদেহ বাসায় নিয়ে যায়। এ নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
এদিকে, মৃত সামিয়ার খালা রিনা আক্তার জানান, স্থানীয় একটি স্কুলের এসএসসি পরিক্ষার্থী ছিলেন সামিয়া। তার বাবা ডালিম মাসুদ তাদের রেখে ২য় বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন। সামিয়া তার মা রুনা ও বড় ভাই অনিকের সঙ্গে কামরাঙ্গীরচর কয়লাঘাট বেরিবাধ এলাকায় তার নানা বিল্লাল হোসেনের বাড়ির ৫ম তলার বাসায় থাকতেন।
তিনি আরও জানান, গতকাল সামিয়ার মা এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন। রাতে বাসায় ছিলেন দুই ভাইবোন। রাতে সামিয়াকে বাসায় রেখে বড় ভাই অনিক বাইরে গিয়েছিলেন। বাসায় ফিরে দরজা খোলার জন্য সামিয়াকে ডাকাডাকি করলে তার কোন সাড়াশব্দ পান না। পরে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখেন, ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন সামিয়া। তখন প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় ঝুলন্ত মরদেহ নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সামিয়ার পরিবারের ধারণা, সামিয়া শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। সে কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন।