৭৯ নাবিকসহ মাছ ধরার ২টি ট্রলার নিয়ে গেল ভারতীয় কোস্টগার্ড
১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:১৯ | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:৪৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ৭৯ নাবিকসহ বাংলাদেশি দুটি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, খুলনায় বাংলাদেশের সীমানার শেষপ্রান্তে সাগরে ট্রলার দুটি মাছ আহরণে নিয়োজিত ছিল।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বঙ্গোপসাগরে খুলনায় হিরণ পয়েন্ট এলাকা থেকে ট্রলার দুটি ভারতীয় কোস্টগার্ড নিয়ে গেছে বলে মালিক প্রতিষ্ঠান ও নৌপরিবহন অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
ট্রলারগুলো হলো- এফভি লায়লা–২ ও এফবি মেঘনা–৫। এর মধ্যে এফভি লায়লা–২ এস আর ফিশিং নামে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন। এফভি মেঘনা–৫ চট্টগ্রামভিত্তিক সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেডের মালিকানাধীন।
সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সুমন সেন সারাবাংলাকে জানান, এফভি-মেঘনা ট্রলারটি গত ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম থেকে মাছ আহরণের জন্য খুলনায় যায়। সেটি ১৪ ডিসেম্বর ফিরে আসার কথা ছিল। ওই ট্রলারে ৩৭ জন নাবিক আছেন। অন্যদিকে, ৪২ জন নাবিক নিয়ে এফভি লায়লা-২ ট্রলারটি চট্টগ্রাম থেকে রওনা করে গত ২৭ নভেম্বর। সেটি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ফিরে আসার কথা ছিল।
তিনি বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে ভারতীয় কোস্টগার্ড এসে ট্রলার দুটি জব্দ করে। তাদের অভিযোগ, ট্রলার দুটি বাংলাদেশের সীমানা ক্রস করে তাদের সীমানায় গিয়ে মাছ আহরণ করছিল। গত (সোমবার) রাতে আমরা বিষয়টি জানতে পারি। এর পর আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়, মেরিন ফিশারিজ একাডেমি এবং নৌপরিবহন অধিদফতরকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবহিত করেছি।’
তিনি জানান, মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলমের সঙ্গে ট্রলারের মালিকপক্ষের ভার্চুয়াল সভা হয়েছে। তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রলারসহ নাবিকদের ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছেন।’
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে এফভি-মেঘনা ট্রলারের ক্যাপ্টেন রাহুল বিশ্বাস সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেডের মালিকানাধীন আরেকটি ট্রলারে বেতারবার্তা পাঠিয়েছেন।
সুমন সেন বলেন, ‘বেতারবার্তায় আমরা জানতে পেরেছি, ভারতীয় কোস্টগার্ড ট্রলার দুটি তাদের হেফাজতে নিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে। তবে আমাদের নাবিকরা ভালো আছেন। ভারতীয় নৌবাহিনীর পাঁচজন করে সদস্য প্রতিটি ট্রলারে পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করছেন। নাবিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছেন না, এটা আমরা নিশ্চিত হয়েছি।’
নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, ‘বাংলাদেশি ট্রলার দুটি আমাদের সীমানায় মাছ আহরণ করছিল। ভারতীয় কোস্টগার্ড তাদের সীমানা দাবি করে সেগুলো নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নাবিকসহ ট্রলার দুটি উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম