Tuesday 10 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ন্যাচার সাময়িকীর শীর্ষ ১০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় ড. ইউনূস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:১৪ | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:৪৭

ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: ন্যাচার থেকে

ঢাকা: বিশ্বখ্যাত ন্যাচার সাময়িকীর ২০২৪ সালের শীর্ষ ১০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ‘ন্যাশন বিল্ডার’ ক্যাটাগারিতে তিনি ‘ন্যাচার’স ১০’ শীর্ষক এই তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ন্যাচার সাময়িকীর ওয়েবসাইটে শীর্ষ ১০ ব্যক্তিত্বের এ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর বিশ্বের যে ১০ ব্যক্তিত্ব বিজ্ঞানের জগতকে ইতিবাচক ও মানবকল্যাণে রূপান্তরে ভূমিকা রেখেছেন, তাদেরই তালিকায় স্থান দিয়েছে ন্যাচার সাময়িকী।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে কীভাবে গবেষকরা আমাদের পৃথিবীকে গড়ছেন, তার স্বীকৃতি এই তালিকা। চলতি বছরের তালিকায় আবহাওয়া পূর্বাভাসের নতুন ধারণা থেকে শুরু করে একটি জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়গুলো স্থান পেয়েছে।

ন্যাচারের প্রতিবেদনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে স্বৈরাচার সরকারের পতনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরা শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেশ পরিচালনার নেতৃত্ব দিতে আমন্ত্রণ জানানোর দাবি জানিয়েছিলেন। এটি ছিল ড. ইউনূসের জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, ছয় দশকের পেশাজীবনে তিনি কখনও রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেননি।

ড. ইউনূসের সঙ্গে ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন অ্যালেক্স কাউন্টস। তিনি ন্যাচার সাময়িকীকে বলেন, ড. ইউনূস আশির কোঠায় অবস্থান করা একজন ব্যক্তি। কিন্তু তার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উজ্জ্বল। তার সহানুভূতি রয়েছে। তিনি একজন চমৎকার যোগাযোগকারী।

বিজ্ঞাপন

জার্নালে ড. ইউনুসের জীবনী উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশের চট্টগ্রামে ড. মুহাম্মদ ইউনূস জন্মগ্রহণ করেন। গত শতকের ষাটের দশকে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং সেখানে পরিবেশ অর্থনীতির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নিকোলাস জর্জেসকু-রোগেনের অধীনে পড়ালেখা করেন ড. ইউনূস। ‘ক্ষুদ্র ঋণ’ তার যুগান্তকারী উদ্ভাবন।

গত শতকের সত্তরের দশকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকার সময়ে ড. ইউনূস এই ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে কাজ করতে শুরু করেন উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই উদ্ভাবনের মাধ্যমে তিনি দেখিয়েছেন, সঠিক ব্যবস্থাপনা থাকলে ক্ষুদ্র ঋণ সমাজের সবচেয়ে দরিদ্র অংশের জীবন বদলে দিতে পারে।

ক্ষুদ্র ঋণের ধারণার ওপর ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে তার ক্ষুদ্র ঋণের ধারণা সারা বিশ্বে মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

ন্যাচারের ১০ বিশ্বব্যক্তিত্বের তালিকায় আরও স্থান পেয়েছেন জার্মানির কোয়ান্টাম পদার্থবিদ ইকেহার্ড পাইক, কানাডার পিএইচডি গবেষক কেইটলিস খারাস, চীনের ভূতত্ত্ববিদ লি চুনলাই, জার্মানির গবেষক আনা আবেলকিনা, চীনের চিকিৎসক হুজি জু, কানাডিয়ান-আমেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানী ওয়েন্ডি ফ্রিডম্যান, কঙ্গোর ভাইরোলজিস্ট প্লেসিড মবালা, সুইজারল্যান্ডের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ করডেলিয়া বাহর এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ রেমি লাম।

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ন্যাচার জার্নাল ন্যাচার সাময়িকী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর