কুড়িগ্রামে শীতের দাপটে জনজীবনে ভোগান্তি
১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:২৮
কুড়িগ্রাম: জেলায় শীতের তীব্র দাপট ও কুয়াশায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত হয়ে পড়েছে। শেষ বিকেলে সূর্যের দেখা মিললেও নেই উত্তাপ। সারাদিন ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে পথঘাট। দিনের বেলায় দূরপাল্লার যানগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
এ অবস্থায় শীত বস্ত্রের অভাবে কষ্টে পড়েছে হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের মানুষগুলো। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষরা শীত নিবারণের জন্য ফুটপাত ও ভ্রাম্যমান ভ্যানের দোকান গুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন।
হিমেল বাতাস ও ঘনকুয়াশায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবি মানুষ। তীব্র শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে তারা কাজের সন্ধানে বাহির হয়েছেন।
এদিকে দিনের অধিকাংশ সময় সূর্য মেঘের আড়ালেই থাকছে। সূর্যের উত্তাপ না থাকায় হিমেল বাতাসে নিম্নগামী হতে থাকে তাপমাত্রা। এই সময় তীব্র শীত অনুভূত হতে থাকে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীত জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। অপরদিকে শীত কষ্টে পড়েছে জেলার নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপচরের হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষজন।
উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের আজগার আলী বলেন, ‘ঠান্ডাত খুব কষ্টে আছি। ঠান্ডার করণে কাজও করতে পারছি না। গতকাল থেকে ঘর থেকে বাহির হওয়া যায় না। আবার রাতেও বিছানায় খুব কষ্ট হয়। আমরা তো গরিব মানুষ । সারাদিন যে টাকা রোজগার করি সেটা দিয়ে খাবার কিনেই শেষ হয়ে যায়। বাজারে জিনিস পত্রের যে দাম। কাপড় কিনব কী ভাবে।’
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত ১৫ দিন ধরে এই অঞ্চলের তাপমাত্রা ১২-১৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস উঠা-নামা করছে। এ মাসের মাঝামাঝি নাগাদ এ জেলার উপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
সারাবাংলা/এইচআই