স্বজনদের ফেরত চাইলেন তারা
১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:১১ | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ০০:০৫
খুলনা: আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের মানববন্ধন ও র্যালিতে অংশ নিয়ে গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্ধান চেয়েছেন তাদের স্বজনরা। কেউ ফিরে চান বাবাকে, কেউ সন্তানকে, কেউ ভাইকে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ খুলনা ইউনিটের উদ্যোগে খুলনা প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
এ কর্মসূচিতে অংশ নেন ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সময় গুমের শিকার তিন পরিবার। আরও ছিলেন পুলিশের হাতে চোখ উপড়ানোর শিকার শাহজালাল। চোখ হারানোর সেই যন্ত্রণাদায়ক ও লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শাহজালাল প্রশ্ন ছুড়ে দেন— তার চোখ দুটি গেল কোথায়?
অধিকারের খুলনা ফোকাল পারসন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী মুহাম্মদ নূরুজ্জামানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অধিকারের বিবৃতি পাঠ করেন হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার সাংবাদিক কে এম জিয়াউস সাদাত।
বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনে ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। বিশেষ করে বন্দিশালা ‘আয়নাঘরে’র নায়ক এবং হেফাজতে নির্যাতন ও গুমের সঙ্গে জড়িতরা এখনো গ্রেফতার হয়নি। গুমের শিকার ব্যক্তিরা সবাই ফিরে আসেনি। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের ফিরিয়ে দেওয়া ও গুমের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) যুগ্ম মহাসচিব ও আমাদের দেশ খুলনার ব্যুরো প্রধান এহতেশামুল হক শাওন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল খুলনার আহ্বায়ক এম হুমায়ুন কবির, খুলনা জেলা গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক মুনীর চৌধূরী সোহেল এবং সাতক্ষীরা জেলা নারী ও শিশু আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট শেখ আলমগীর আশরাফ।
গুমের শিকার সাতক্ষীরার হোমিও চিকিৎসক মোখলেসুর রহমান জনির বাবা শেখ আব্দুর রাশেদ, নগরীর নিরালা কাশেম নগর এলাকার গুমের শিকার আবুল কালাম আজাদ বাবুর ভাই মো. জাহাঙ্গীর হোসেন লিখন, পুলিশ কর্তৃক চোখ উপড়ানো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শাহজালাল হাওলাদার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক মো. মিরাজুল ইসলাম ইমনও মানববন্ধনে বক্তব্য দেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক খুলনাঞ্চল সম্পাদক ও প্রকাশক মিজানুর রহমান মিল্টন, মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সম্পাদক বরকত আলী, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মো. মাহাবুব হোসেন, খুলনা জেলা ব্লাড ব্যাংকের সভাপতি শেখ ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক রকিবুল ইসলাম মতি ও মিশারুল ইসলাম, মানবাধিকার কর্মী এম এ আজিম, এস এম জসিম উদ্দিন, মো. রাজু হাওলাদার ও ইমামসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/টিআর