দোয়ারাবাজারের ঘটনায় শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছে সিপিবি-বাসদ
১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৫৭ | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৫
ঢাকা : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ঘটনার শ্বেতপত্র প্রকাশসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা সৃষ্টির পাঁয়তারা এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) নেতারা। একই সঙ্গে ওই ঘটনায় দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদে বিভিন্ন ব্যক্তি, উপাসনালয়-কলেজে হামলার দ্রুত তদন্ত করে অপরাধীদের চিহ্নিত এবং শাস্তির দাবিও জানান তারা।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এবং বাসদ’র সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন এসব দাবি জানান।
সাক্ষাৎকালে দুই বাম নেতা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য কঠোর ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।
এসময় কুমিল্লায় নবাব ফয়জুন্নেছা ও মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের ভাস্কর্যে কালি লেপনে জড়িতদের পাশাপাশি এ ঘটনার প্রতিবাদকারী আব্দুর রাজ্জাকের ওপর হামলাকারীদেরও শাস্তির দাবি জানান তারা।
বামদল নেতাদের বক্তব্যের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো ও জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে সরকার স্বচেষ্ট। অনেক জায়গার ছোটখাটো ঘটনা সম্পর্কে অনেক সময় খবর যথাসময়ে আসে না। খবর পেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
‘সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপারের সাথে কথা হয়েছে’ জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা দরকার।
বামদল নেতারা এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জানান, সুনামগঞ্জসহ বেশ কিছু এলাকার প্রকৃত ঘটনা যাতে সামনে না আসে, সেজন্য অনেক জায়গায় অলিখিত বিধি-নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে প্রকৃত ঘটনার সাথে নানা ধরনের ঘটনা যুক্ত করেই ‘সত্য-মিথ্যা’ খবর পরিবেশিত হতে থাকবে, এসব ঘটনার নানা ডালপালা গজাবে, যা মোটেই কাম্য নয়। প্রকৃত ঘটনা কখনোই আড়াল করা যাবে না। প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরে যেকোনো সংকট সমাধানে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ও সচেতন ব্যক্তিবর্গকে সম্পৃক্ত করেই সমস্যার সমাধানের পথে এগোতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রকৃত ঘটনা সবার সামনে তুলে ধরে, ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার করতে হবে। একই সঙ্গে এ ধরনের ঘটনাকে দেশ-বিদেশে কেউ যেন রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে -সে বিষয়েও সরকারকে সচেতন থাকতে হবে।
বাম নেতারা বলেন, সরকার দৃঢ় অবস্থান নিলে কোথাও এ ধরনের হামলা ঘটবে না। এ জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর বার্তা দেওয়াসহ সকলের সহযোগিতা নিয়ে জনগণের বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/আরএস