মুন্সিগঞ্জ মুক্ত দিবস
১১ ডিসেম্বর ধলেশ্বরী নদী দিয়ে পালায় হানাদার বাহিনী
১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৫০ | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৫১
মুন্সিগঞ্জ: ১১ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জ মুক্ত দিবস। মুক্তিবাহিনীর প্রবল প্রতিরোধের মুখে ১৯৭১ সালের এইদিনে পালিয়ে যায় হানাদার বাহিনী। মুক্তির আনন্দে পথে নেমে আসে হাজারো মানুষ।
মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস মুন্সিগঞ্জ জেলার বিভিন্নস্থানে নির্মম ধ্বংসযজ্ঞ ও হত্যাযজ্ঞ চালায় পাক হানাদার বাহিনী। ৯ মে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার চলে ইতিহাসের নির্মম গণহত্যা। রাতের আধাঁরে সেদিন গ্রামে-গ্রামে হত্যা করা হয় নিরস্ত্র-নিরপরাধ ৩৬০ জন মানুষকে। এছাড়া আরও ছোট-বড় বেশ কয়েকটি হত্যাযজ্ঞের সাক্ষী এই জনপদ।
৪ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জকে মুক্ত করতে পাক সেনাদের তিনটি বড় দলের সঙ্গে অপ্রতিরোধ্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যুক্ত হয় মিত্র বাহিনীর বিমান বহর। দ্বিমুখী চাপে পাকসেনারা পিছু হটে। এরপর থেকেই পাক-হানাদার বাহিনী কোনঠাসা হয়ে পড়ে। ১০ ডিসেম্বর বিকেল থেকেই মুক্তিযোদ্ধারা শহরের সবচেয়ে বড় হানাদার ক্যাম্প সরকারি হরগঙ্গা কলেজের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধে ১১ ডিসেম্বর ভোরে ধলেশ্বরী নদী দিয়ে মুন্সিগঞ্জ থেকে পালিয়ে যায় পাক হানাদার বাহিনী। শত্রু মুক্ত হয় পদ্মা, মেঘনা, ধলেশ্বরী ও ইছামতি বিধৌত মুন্সিগঞ্জ।
সারাবাংলা/এসআর