আয়নাঘরে যারা নির্যাতনের শিকার, তাদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইছি: র্যাব ডিজি
১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:৩০ | আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৪
ঢাকা: র্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছেন, আয়নাঘর ছিল এবং এখনো ওই অবস্থায় আছে। তদন্ত করে কমিশন যা ব্যবস্থা নেবে সেটাই হবে। আয়নাঘরে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে কারওয়ান বাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভার প্রশ্ন-উত্তরে একথা বলেন র্যাব ডিজি।
এসময় র্যাব ডিজি বলেন, গুম কমিশন গঠন করা হয়েছে। সেখানে অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে। কমিশন তদন্ত করে যা ব্যবস্থা নেবে সেটাই আমরা মানতে বাধ্য থাকবো। কমিশন আয়নাঘর পরিদর্শনের পর অরক্ষিত রাখতে বলেছে তাই সেটি ওই অবস্থায় রাখা হয়েছে।
গুম, খুন, অপহরণের অভিযোগ রয়েছে তা স্বীকার করে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। একইসঙ্গে গুম, খুন ও অপহরণের অভিযোগগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে দায় মুক্ত হতে চায় র্যাব। কারো নির্দেশে আর কখনো গুম খুনে জড়াবে না র্যাব।
আন্দোলনের সময় যারা দুই হাতে অস্ত্র দিয়ে গুলি করেছিল। যাদের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল তাদের মধ্যে পাবনা থেকে একজন, যাত্রাবাড়ী থেকে একজনসহ মোট ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ত্বকি হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে একজন আদালতে ১৬৪ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
র্যাব বিলুপ্তির বিষয়ে জানতে চাইলে ডিজি বলেন, র্যাব বিলুপ্তি নিয়ে সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই মানতে শিরোধার্য।
র্যাবের পোশাক পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, পোষাক বড় কথা নয়। র্যাবের জন্য আলাদা আইন করার চেষ্টা চলছে। পোশাকের চেয়ে ব্যক্তি উন্নয়ন দরকার। এরপরেও সংস্কার কমিশন যদি চায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।
র্যাব ডিজি বলেন, গুম খুনের বিষয়ে গুম কমিশন কাজ করছে। তদন্তে যা আসবে তাই নিয়ে বিচার হবে। আমরা কমিশনকে সহযোগিতা করতে বাধ্য।
৫ আগস্টের আগে জঙ্গি দমন কার্যক্রম কোন নাটক ছিল কিনা জানতে চাইলে ডিজি বলেন, জঙ্গিদের তৎপরতা ছিল র্যাব ভূমিকা পালন করেছে। ভবিষ্যতে এরকম কার্যক্রম দেখলে র্যাব সক্রিয় ভূমিকা নেবে।
হেলিকপ্টার থেকে গুলি করেছে কিনা জানতে চাইলে ডিজি বলেন, এখন পর্যন্ত ৩০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া তদন্ত কমিটি হয়েছে, অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রকৃত সত্যটা বের হয়ে আসবে।
র্যাব মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে তবে জনগণের প্রত্যাশা এখনও পূরণ হয়নি। গত চার মাসে ডাকাতি , ছিনতাই, চাঁদাবাজির অভিযোগে র্যাবের ১৬ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/ইউজে/এমপি
আয়নাঘর র্যাব মহাপরিচালক র্যাব মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান