চারুকলা ইনস্টিটিউট ফিরছে চবি’র মূল ক্যাম্পাসে
১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৩৪ | আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৩৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) শামীম উদ্দিন খান।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় চেয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালককে বলা হয়েছে আগামী ১৯ ডিসেম্বর অ্যাকাডেমিক সভা ডাকার জন্য। সেখানে আমি উপস্থিত থাকব। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে অন্যান্য বিভাগগুলোকে যখন নতুন কলা অনুষদ ভবনে স্থানান্তরিত করব, তখন এখানে (পুরাতন কলা অনুষদ ভবন) আমরা চারুকলাকে প্রতিস্থাপিত করব। তোমরা আমাদের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় দাও। আমি আশা করছি তোমরা আগামী ১ এপ্রিল থেকে মূল ক্যাম্পাসে ক্লাস করতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীবান্ধব হিসেবে কাজ পরিচালনার চেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন মানে আমাদের আন্দোলন। শিক্ষার্থীদের চাওয়া মানে আমাদের চাওয়া। সুতরাং শিক্ষার্থীদের যাতে কোনো প্রকার আন্দোলনে যেতে না হয় তার জন্য সকল প্রচেষ্টা আমরা অব্যহত রেখেছি। আমরা চারুকলা ইন্সটিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে নিয়ে আসার জন্য ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এসময় চবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) কামাল উদ্দিন ও প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) মূল ক্যম্পাসে ফিরে যাওয়া, শিক্ষক সংকটসহ নানান দাবিতে আন্দোলনে নামে চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এদিন প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। পরে ইনস্টিটিউটের সামনের সড়ক অবরোধ করে টানা দুদিন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
আজ দুপুরে চবি মূল ক্যাম্পাসেই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতাকর্মীরা।
নগরীর বাদশা মিয়া সড়কে ‘চট্টগ্রাম চারুকলা কলেজকে’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সঙ্গে সংযুক্ত করে ২০১০ সালে চারুকলা ইনস্টিটিউট করা হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে নগরীতে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।
২০২৩ সালে চারুকলা ইনস্টিটিউট চবির মূল ক্যাম্পাসে ফেরাতে আন্দোলনে নেমেছিলেন শিক্ষার্থীরা। যেটা বড় আন্দোলনে রূপ নেয়। পরে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ও জেলা প্রশাসক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসলেও কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে চারুকলায় সশরীর শ্রেণি কার্যক্রম এক মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
পাশাপাশি ভবন সংস্কারের কথা বলে শিক্ষার্থীদের চারুকলা ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে শিক্ষার্থীরা মূল ক্যাম্পাসেই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে থাকেন। তবে ৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে হামলা চালান নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
সারাবাংলা /এমআর/এইচআই