Sunday 15 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল
জনবল সংকট ও দালালদের দৌরাত্ম্যে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত

মহিউদ্দিন সুমন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:০০ | আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:০৩

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইল: জনবল সংকটে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল। হাসপাতালটিতে বেডের চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় সেবা নিতে আসা রোগীরা যেমন দুর্ভোগে পড়েছেন, তেমনি চিকিৎসকরাও সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। নোংরা আর দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশের পাশাপাশি গড়ে উঠেছে দালালদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এছাড়াও শয্যা ও চিকিৎসক সংকটসহ নানা সমস্যা রয়েছে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে। ইনডোর, আউটডোর ও জরুরি সেবা নিতে আসা রোগীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসাপাতালে অনুমোদিত জনবলের প্রশাসনিক ও পরিসংখ্যান কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন খাতে কর্মচারীর পদ রয়েছে ৪০১টি। এর মধ্যে চিকিৎসকসহ ৭২টি পদই শূন্য। হাসপাতালে ৫৮ জন চিকিৎসক পদের মধ্যে শূন্য পদ ১৮। সিনিয়র কলসালটেন্ট (মেডিসিন) ও সিনিয়র কলসালটেন্ট (সার্জারি) দু’টি পদই শূন্য, সিনিয়র কলসালটেন্ট (স্কিন ভিডি) পদটিও শূন্য অনেকদিন।

এছাড়া, সিনিয়র নার্সের ছয়টি পদই শূন্য। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর ৭২টি পদের বিপরীতে শূন্য পদ রয়েছে ৩৫টি। আর প্রতিষ্ঠানে ৭৭ জন আউটসোর্সিং জনবলের মধ্যে লোক নিয়োগ করেছে মাত্র ৪৮ জন। ১৬টি সুইপার পদের মধ্যে ৯টি পদও খালি।

এত স্বল্প সংখ্যক আয়া, সুইপার ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কারণে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্য দিকে ডায়াবেটিক রোগীর তিন মাসে সার্বিক অবস্থা জানার একমাত্র এইচবিএওয়ানসি মেশিনটিও অকেজো হয়ে পড়ে আছে। ফলে ডায়াবেটিক রোগীরা পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। আবার হাসপাতালটির মোাট ২৫০টি বেডের বিপরীতে প্রায় সময়ই ৪৪০ থেকে ৪৮০ জন রোগী ভর্তি থাকে। জনবল সংকটের কারণে মূলত হাসপাতালটি পরিচালনায় নানা জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগ রয়েছে, জেনারেল হাসপাতালে বড়ধরনের কোনো সার্জারি হয় না। সামান্য জটিল রোগী হলেই মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা অন্য ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া, হাসপাতালে প্যারামেডিকর্সের কোর্স করা অসংখ্য শিক্ষার্থী ইন্টার্নশিপ করার নামে মেডিকেল অফিসারের রুমে ভিড় করে বসে থাকেন। এমনকি মেডিকেল অফিসারের চেয়ারে বসে রোগীদের চিকিৎসাপত্রও দেন তারা। হাসপাতালের পুরুষ, নারী, শিশু, ডায়রিয়া ও গাইনিসহ সবগুলো ওয়ার্ডেই বেডের সংকট প্রকট। সেইসঙ্গে পরিবেশও নোংরা। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভেতরে ও বারান্দার মেঝেতে গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের।

বিজ্ঞাপন

হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়েও উদাসীন কর্তৃপক্ষ। রোগী ও স্বজনের অতি প্রয়োজনীয় বাথরুমের অবস্থাও বেহাল। অন্যদিকে হাসপাতালটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় প্রায়ই সেখানে টাকা-পয়সা ও মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটছে। বেশ কয়েকজন রোগীর অভিযোগ, হাসপাতালের ডাক্তার প্রেসক্রিপনে পাঁচটি ওষুধ দিলে একটি ওষুধ পাওয়া যায়। বাকি ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়। হাসপাতাল ওষুধ থাকলেও প্রায় সময় রোগীদের ওষুধ দেওয়া হয় না। ডিজিটাল এক্সরে মেশিনসহ ল্যাবে আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকায় কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দুই পাশের প্রবেশ পথ, জরুরি বিভাগসহ হাসপাতালের বিভিন্ন অংশে ঘোরাঘুরি করছে দালালচক্র। এ ছাড়াও বিভিন্ন অংশে জটলা পাকিয়ে আছেন বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিপণন প্রতিনিধিরা। জরুরি বিভাগসহ হাসপাতালের সবকটি ইউনিটের সামনেই তাদের অবস্থান। রোগীরা চিকিৎসকের কক্ষ থেকে বের হওয়া মাত্রই আশপাশের ওষুধের দোকানদার বা ওষুধ কোম্পানির লোকজন প্রেসক্রিপশন নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু করেন। রোগীর অনুমতি না নিয়েই প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলতে থাকেন তারা। এতে রোগী ও তাদের স্বজনরা সংকোচ বা বিব্রত বোধ করলেও যেন তাদের কিছুই আসে যায় না। চিকিৎসক রোগীকে কোন রোগের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে লিখে দিলেই চেপে ধরেন বেসরকারি হাসপতাল ও ক্লিনিকের দালালরা। কোনো কোনো দালাল আবার গ্রাম থেকে আসা নিরক্ষর মানুষজনকে ভুলভাল বুঝিয়ে হাসপাতালের ভেতর পর্যন্ত আসতেই দেন না। বাইরে থেকেই রোগীদের নিয়ে যান বিভিন্ন ক্লিনিকে।

অন্যদিকে, পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে প্রতিনিয়ত রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে কিছু বেসরকারি হাসপতাল ও ক্লিনিক গুলো। টাঙ্গাইল শহরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের পাশাপাশি একই ক্যাম্পাসে রয়েছে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ। একে ঘিরে টাঙ্গাইল শহর জুড়ে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক। টাঙ্গাইল জেলারেল হাসপাতাল চত্বরে ঘোরাফেরা করা দালালরা তাদেরই কমিশন ও বেতনভুক্ত। সরকারি হাসপাতালে এসেই দালালদের খপ্পরে পড়েন গ্রাম থেকে আসা সরল রোগী ও তাদের আত্মীয়রা। দালালরা তাদের আশপাশের ক্লিনিক গুলোতে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

হাসপাতালটি ঘুরে দেখা যায়, পুরো হাসপাতালটি অপরিচ্ছন্ন। দুর্গন্ধের জন্য রোগীদের নাকে হাত দিয়ে থাকতে হয় মাঝেমধ্যে। বাথরুমগুলোর সামনে গেলেই বমি আসে। রোগীরা জানান, বেডের বাইরে থাকা ভর্তি রোগীদের খাবার দেওয়া হয় না। আর যাদের খাবার দেওয়া হয় তা মুখে দেওয়ার মতো নয়। এ ব্যাপারে বারবার অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা হয়নি। হাসাপাতালের তিনটি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে একটি অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন। তাই হাসপাতালটিতে দালাল ও অ্যাম্বুলেন্স চালকদের দৌরাত্ম চোখে পড়ার মতো।

মধুপুর উপজেলার ছানোয়ার হোসেন দেড় মাস আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসা শেষে অনেকটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখন তার পায়ের ছোট একটি অপারেশন করানোর জন্য সম্প্রতি সার্জারি বিভাগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তার অপারেশন হচ্ছে না। প্রতিদিন সকালে ডাক্তার এসে দেখে যান। ডাক্তারের পরামর্শে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করেছেন তিনি। কিন্তু পাঁচ দিন হয়ে গেল অপারেশন হচ্ছে না। ডাক্তারের আশ্বাসেই এখন তার দিন কাটছে।

৫ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালের শিশুবিভাগের চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে প্রচুর ভিড় চোখে পড়ে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান চেম্বারে নেই। তার কক্ষে বেশ কয়েকজন নার্স অলস বসে রয়েছেন। ডাক্তার কোথায় জিজ্ঞেস করলেও তার কোনো সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি। হাসপাতলের মহিলা ওয়ার্ডে ডায়াবেটিক রোগের চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছেন আছমা বেগম (৫০)। বেড না পেয়ে তার জায়গা হয়েছে হসপাতালের মেঝেতে। স্বামী বাদশা মিয়া সারাবাংলাকে জানান, ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণ না থাকায় জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন। কিন্তু দুই দিনেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় চলে যাচ্ছেন তারা।

হাসপাতালে পুরুষ ওয়ার্ডের ভর্তি গনি মিয়া (৬০)। সঙ্গে থাকা তার নাতি রানা মিয়া সারাবাংলার এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘বেড না পাওয়ায় মেঝেতে রোগী রাখতে বাধ্য হয়েছি। বারান্দা ও মেঝের চারপাশে ময়লা আর দুর্গন্ধে টিকে থাকা মুশকিল। বারবার বমি আসছে।’ এ সময় পুরুষ ওয়ার্ডের রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, হাসপাতালের বারান্দা ও মেঝের চারপাশে ময়লা আর দুর্গন্ধ, টিকে থাকা মুশকিল। নাকে রুমাল দিয়ে টয়লেটে যেতে হয়। একবার গেলে দ্বিতীয়বার যাওয়ার ইচ্ছে করে না।

গোপালপুরের সোহেল রানা মুমূর্ষু বাবাকে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের ডাক্তার আইসিইউতে ভর্তি করান। কিন্ত প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল না থাকায় হতাশা নিয়েই চলে যেতে হচ্ছে রোগীকে। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ আছে, কিন্তু দক্ষ জনবল না থাকায় সেটি পরিচালনা করা যাচ্ছে না; এটা খুবই দুঃখজনক বিষয়। রোগীর সেবার নামে এটা একধরনের প্রতারণা।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক চিকিৎসক সারাবাংলাকে জানান, কিছু সিনিয়র চিকিৎসকের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটের কারণে এখানে অব্যবস্থাপনা বিরাজ করছে। হাসপাতালের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহারে জনবল নেই। এ কারণে পরীক্ষা-নিরীক্ষাও ঠিক মতো হচ্ছে না। জনবলের অভাব হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ সচল যন্ত্রপাতি পড়ে আছে। বাধ্য হয়ে অধিকাংশ রোগী বাইরের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে পরীক্ষা করছেন। আর এতে ওই সিন্ডিকেটের ভূমিকা রয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালের একজন রেডিওলজিস্ট দিয়ে কোনোভাবেই এত পরিমাণ রোগীর সেবা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।

হাসপাতালের নার্সিং সেবা তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) পদ্মা সাহা সারাবাংলাকে বলেন, ‘হাসপাতালে প্রতিদিন এই বিপুল সংখ্যক রোগী সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ২৫০ শয্যা রোগীর সেবা দিতে গিয়ে ৪০০-৫০০ রোগীর সেবা দিতে হয় আমাদের। কাঙ্ক্ষিত সেবা না পাওয়ায় রোগীরা আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। অন্যদিকে নার্সদের বসার কোনো নির্দিষ্ট রুম নেই। তাদের রুমের টয়লেটে গেলে ছাদের ওপর থেকে পানি ঝরে।’

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আলমগীর হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘হাসপাতালে পুরাতন এক্সরে মিশিন, এমআরআই, ফিজিও থেরাপি ও আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন দিয়ে আধুনিক বিশেষায়িত স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া সম্ভব না। এগুলোকে ডিজিটাল যন্ত্রপাতিতে রূপান্তর করা না গেলে আধুনিক বিশেষায়িত স্বাস্থ্য সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।’

জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘পর্যাপ্ত জনবল ও লজিস্টিক সরবারাহ পেলে আমরা কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারব। ডাক্তার, কিউরিটি, পর্যাপ্ত নার্স, সাপোর্টিং স্টাফ না থাকায় পরিপূর্ণ স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। আয়া এবং ওয়ার্ড বয় না থাকায় কী যে কষ্ট তা বুঝানো সম্ভব নয়। বিকেলের পর পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের দেখা মিলে না।’

তিনি জানান, হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মাত্র চারজন মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট দিয়ে প্রায় ১৮০০ থেকে ২০০০ হাজার রোগীর পর্যাপ্ত সেবা দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এ সব বিষয়ে কর্তৃপক্ষের বিশেষ নজর দেওয়া দরকার।

তিনি আরও জানান, এমআরআই, সিটিস্ক্যান ও ডিজিটাল এক্সরে মেশিন না থাকায় রোগীদের সঠিকভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।

‘হাসপাতালে গড়ে উঠেছে দালালদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট’- এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের উপ-পরিচালত ডা. খন্দকার সাদেকুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সমন্বয়ে মাঝে মাঝেই অভিযান চালানো হয়। তবে দালাল ও মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টিটিভদের পুরোপুরি দমন করা সম্ভব হচ্ছে না।’ এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

সারাবাংলা/পিটিএম

চিকিৎসাসেবা ব্যাহত জনবল সংকট টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল দালালদের দৌরাত্ম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর