মুসলিম ও আরব বিদ্বেষ প্রতিরোধে হোয়াইট হাউজের কৌশলপত্র
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:৫৪ | আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:৪৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম ও আরব বিদ্বেষ প্রতিরোধে একটি নতুন কৌশলপত্র প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ৬৪ পৃষ্ঠার এই নথিতে বৈষম্য দূরীকরণে নির্বাহী শাখার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়েছে। ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের পর বিদ্বেষমূলক অপরাধ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে এই কৌশলপত্র প্রকাশিত হয়েছে।
বাইডেন তার বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন, মুসলিম ও আরবরা অন্যান্য আমেরিকানদের মতোই সমান অধিকার পাওয়ার দাবিদার। তিনি বলেন, ‘যে নীতিগুলো পুরো সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বৈষম্য সৃষ্টি করে, সেগুলো আমাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে না।’
এই কৌশলপত্রের আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবিলায় হোয়াইট হাউজ একটি অনুরূপ নীতি ঘোষণা করেছিল। তবে নতুন নীতিতে আরব বিদ্বেষকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা অনেকের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
আরব আমেরিকান ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা জিম জোগবি বলেন, ‘কৌশলটি শুধু মুসলিম বিদ্বেষ নয়, আরব বিদ্বেষকেও স্বীকার করেছে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’ তবে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় এলে এই কৌশলের বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
এদিকে, মুসলিম নাগরিক অধিকার সংস্থা সিএআইআর কৌশলপত্রের সমালোচনা করেছে। তাদের মতে, এই নীতিতে ফেডারেল ওয়াচলিস্ট বা গাজা যুদ্ধ বন্ধের কোনও প্রতিশ্রুতি নেই।
যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বাইডেনের অবস্থান নিয়ে কিছুটা অসন্তোষ রয়েছে, বিশেষ করে গাজা যুদ্ধ নিয়ে। এর ফলে ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছু মুসলিম ভোটারের সমর্থন পেয়েছেন। ট্রাম্প ইতোমধ্যেই ইসরায়েলের প্রতি তার দৃঢ় সমর্থন প্রকাশ করেছেন এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইহুদি বিদ্বেষ, আরব বিদ্বেষ এবং ইসলামভীতির উত্থান নিয়ে সতর্ক করে চলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনপন্থী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, যা এই বিদ্বেষকে আরও উস্কে দিয়েছে।
বাইডেনের কৌশলপত্রকে অনেকেই ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখলেও এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, বিশেষত নতুন প্রশাসনের অবস্থান নিয়ে।
সারাবাংলা/এনজে