ই-সিগারেট নিষিদ্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অভিনন্দন তামাক বিরোধী জোটের
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:১১ | আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:১৮
ঢাকা: তরুণদের সুরক্ষায় ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সংগঠনটির দফতর সম্পাদক সৈয়দা অনন্যা রহমান গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তরুণ প্রজন্মকে নেশায় আসক্ত করতে ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টসের (ভ্যাপিং, ই-সিগারেট) প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে তামাক কোম্পানি। এটিকে তামাকের বিকল্প বা তামাক ছাড়ার উপায় হিসেবে প্রচার করা হলেও বাস্তবে ই-সিগারেট নতুন ধরনের নেশা তৈরির মাধ্যম। স্কুল কলেজের কিশোর ও তরুণদের মধ্যে এই ক্ষতিকর পণ্যটির ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হিট-নট-বার্ণ বা ই-সিগারেট যে নামেই অবহিত করা হোক না কেন এ ধরনের পণ্যকে শরীরের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ইউএস সার্জন জেনারেল রিপোর্ট অনুযায়ী, ই-সিগারেট ব্যবহারে হার্ট অ্যাট্যার্ক, স্ট্রোক ও ফুসফুসের ক্ষতি হয়। বিশ্বের অনেক দেশ ই-সিগারেটের ব্যবহারের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে ইতোমধ্যেই ৪২টি দেশ ই-সিগারেটকে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করেছে এবং আরও ৫৬টি দেশ ই-সিগারেট ক্রয়-বিক্রয়ের উপর বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম (ইএনডিএস) সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত এই যুগান্তকারী পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, রেল মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণে গ্রহণ করেছে নানাবিধ ইতিবাচক পদক্ষেপ যা সারা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সংবিধান ও হাইকোর্ট এর নিদের্শনা বাস্তবায়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি নীতি আদেশে ‘আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য’ তালিকায় ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত করায় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর পক্ষ থেকে অভিনন্দন। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট মনে করে তরুণদের সুরক্ষায় এ ধরনের পদক্ষেপ বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থাানকে আরও সুদৃঢ় করবে।
তামাক বিরোধী জোট আরও মনে করে শুধুমাত্র একক কোনো মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টায় তামাক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ, কর বৃদ্ধি, আইন বাস্তবায়ন প্রভৃতি বিষয়গুলোর সাথে কৃষি, অর্থ, স্বরাষ্ট্র ইত্যাদি মন্ত্রণালয়ের সম্পৃক্ততা রয়েছে। কাজেই তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত পরিকল্পনা এবং তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এইচআই