কাজ বাকি রেখেই ঢাকা-গাজীপুর রুটে বিআরটিসি এসি বাস চালু হচ্ছে রোববার
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:১৪ | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:০২
ঢাকা: প্রায় এক যুগ পার হলেও প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই বহুল আলোচিত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পে বাস চলাচল শুরু হচ্ছে। মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে রোববার (১৫ ডিসেম্বর) গাজীপুর থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত বিআরটি লেনে বাস চলাচল উদ্বোধনের ঘোষণা দিয়েছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে এ রুটে বিআরটিসি এসি বাস চলাচল উদ্বোধন করবেন।
বিআরটি করিডোরে বিআরটিসি’র এসি বাস সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চেয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় জানায়, প্রাথমিকভাবে, ১০টি বিআরটিসি এসি বাস গাজীপুরের শিববাড়ি বিআরটি টার্মিনাল থেকে বিআরটি লেনে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার এবং এয়ারপোর্ট থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার মোট ৪২ দশমিক ৫ কিলোমিটার পথে চলাচল করবে।
শিববাড়ি থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত ভাড়া ৭০ টাকা এবং শিববাড়ি থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত ভাড়া ১৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যাত্রী চাহিদা এবং স্টেশনসমূহ সম্পূর্ণ প্রস্তুত হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বাসের সংখ্যা পরবর্তীতে বাড়ানো হবে বলে মন্ত্রণালয় জানায়।
প্রকল্প সুত্রে জানা যায়, এ প্রকল্পের সড়ক বিভাজক, স্টেশন, পদচারী-সেতু নির্মাণসহ বেশ কিছু কাজ এখনো বাকি। ২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর একনেকে বিআরটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। তিন দফা সংশোধনের পর প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর কাজ শেষের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটিও হয়নি। সর্বশেষ বলা হয়েছিল, চলতি বছরের আগস্টে কাজ শেষ হবে। পরে সরকার আবার ডিসেম্বরে উদ্বোধনের কথা জানায়। এর মধ্যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে বিআরটি প্রকল্পে ভাঙচুর হয়। ফলে প্রকল্পের উদ্বোধন নিয়ে একধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। সম্প্রতি প্রকল্পটি পরিদর্শন করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক। পরিদর্শন শেষে গাজীপুরের শিববাড়ী বিআরটি স্টেশনে এক সভায় তিনি উদ্বোধনের বিষয়টি জানান।
সড়কটি চালু হলেও বেশ কিছু সমস্যা থেকে যাবে, যার সমাধান এক দিনেই হবে না- জানিয়ে ওইদিন তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত প্রকল্পের ৯৮ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ বাস চলাচলের মধ্যেও চলমান থাকবে। আগামী বছরের জুনে এই প্রকল্প পুরোপুরি কার্যকর করা সম্ভব বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
সারাবাংলা/জেআর/আরএস