Saturday 14 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘৭১-এর ধারাবাহিকতায় সাঈদ-মুগ্ধরা চব্বিশে দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন’

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৫৮ | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:০৬

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: ৭১-এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করে সাঈদ-মুগ্ধরা ২০২৪ সালে দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।

অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘১৯৭১-এর ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালেও তরুণরা জাতির পাশে দাঁড়িয়েছে ও অসাধ্য সাধন করেছে। ৭১-এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করে সাঈদ-মুগ্ধরা ২০২৪ সালে দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। ঐতিহাসিক এসব ঘটনা পরম্পরার তাৎপর্য অনুধাবন করে এবিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শহিদদের কবরসমূহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।’

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৪ই ডিসেম্বর) ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে জাতীয় বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘শহিদদের রক্তের ঋণ শোষ করতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের জন্য সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের এগিয়ে আসতে হবে। এটিই শহিদদের রক্তের ঋণ পরিশোধের ন্যূনতম উপায় হতে পারে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ববর্তী ইতিহাসকে তুলে ধরে নিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘যে ক’টি বড় ঘটনা আমাদের জাতীয়তাবাদ ও জাতিসত্তার পরিচায়ক, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস এরমধ্যে অন্যতম। দেশ স্বাধীন না হলে আমরা কোন পদ-পদবী, মর্যাদা কিছুই পেতাম না। কি পরিমাণ আত্মত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি দেশ পেয়েছি, জাতি হিসেবে তা সকলের জানা প্রয়োজন। শহিদ পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের প্রতিনিয়ত অন্তরের রক্তক্ষরণ হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে হবে। ২৪-এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তাৎপর্য বুঝার জন্য ঐতিহাসিক এসব ঘটনা পরম্পরা জানা দরকার। সকল অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা সোচ্চার থেকেছে। দেশের প্রতিটি ক্রান্তিকালে এই প্রতিষ্ঠান জাতির পাশে দাঁড়িয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

উপাচার্য শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ছবি: সারাবাংলা

এছাড়াও, সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম শেখ, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, শহিদ গিয়াস উদ্দিন আহমদের ছোট বোন অধ্যাপক সাজেদা বানু এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহিদ পরিবার কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মাদ অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

উল্লেখ্য, দিবসটি উপলক্ষ্যে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাক্ষণস্থ কবরস্থান, জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণস্থ স্মৃতিসৌধ, বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধ এবং মিরপুর ও রাতের বাজার শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয় এবং বিভিন্ন উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

সারাবাংলা/এআইএন/এমপি

উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর