‘৭১ ও ২৪ সালের পরাজিত শক্তিকে আর চাই না’
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:৫৪
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেছেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদারদের থেকে দেশকে উদ্ধার করে ১৯৭৫ সালে আবার বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করে শেখ মুজিবুর রহমান। ঠিক তার মতো তার মেয়ে হাসিনা ওয়াজেদও এদেশে ক্ষমতায় আসার পর থেকে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে। এদের মত আরেকটা শক্তি যারা ১৯৭১ সালে এদেশের মেধাবী সন্তানদের সিরিয়ালি হত্যা করার জন্য নীলনকশা তুলে দিয়েছিল, তাদের সঙ্গে আর ২৪ এর ফ্যাসিবাদীদের মেলবন্ধন রয়েছে। আমরা ৭১ ও ২৪ সালের পরাজিত শক্তিকে আর চাই না।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাবির টিএসসিতে ‘একাত্তরের মেধা নিধন: ইতিহাসের ক্ষত ও বুদ্ধিবৃত্তিক পুনর্গঠন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক বলেন, ‘যারা ১৯৭১ সালে আমাদের মেধাবী সন্তানদের লিস্ট পাকিস্তানিদোর হাতে তুলে দিয়েছিল তার ২০২৪ সালে এসে বুলি উড়ায়। তারা আপনার-আমার উপর তাদের মতামত চাপিয়ে দিতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ এমন ছাত্রসংগঠনকে পছন্দ করবে যারা শিক্ষার্থীদের পালস বুঝবে।’
খন্দকার অনিক বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীন ভূ-খণ্ডে যদি রাজনীতি করতে চান সামনে আসুন। আসুন আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতি করি।’
অনুষ্ঠানে পি জে হার্টজ ইন্ট্যারন্যাশনাল হলের প্রাধ্যক্ষ মো. আবুল কাউসার বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে পুঁজি করে আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ১৫ বছর মানুষের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। তারা একটা দেশের স্লোগান কী হবে নিজেরা ঠিক করেছে। যা একটা দেশের গণতন্ত্র পরিপন্থী কাজ। একটা দেশের স্লোগান কী হবে তা মানুষ ঠিক করবে। জাতির পিতা কে হবে সেটা মানুষ ঠিক করবে। তাই, এ ধরনের আলোচনা আওয়ামী লীগের দাঁড় করানো সেই বয়ানগুলো ভেঙে দিবে।’
ঢাবির কলা অনুষদের ডিন ড. সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, ‘প্রত্যাশা ছিল পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রে বাঙালি জাতি মাথা উঁচু করে দাড়াবে। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর পাকিস্তানিদের সঙ্গে আমাদের দু’ভাগে লড়াই শুরু হয়েছিল। যেখানে বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। যার নেতৃত্ব দিয়েছেন এদেশের বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, ছাত্র ও সাংবাদিক সমাজ। তাই, তাদের হত্যা করতে নীল নকশা করেছে পাকিস্তানি বাহিনী, যাতে বাংলাদেশ আর এগোতে না পারে।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে শেখ মুজিবুর রহমান। যার ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত গণতন্ত্রের কবর রচিত করেছে তার মেয়ে শেখ হাসিনা। যা ইতিহাসে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ হয়েছে। তাই আমাদের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাবি ছাত্রদলের নেতারা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন।
সারাবাংলা/এআইএন/পিটিএম