‘রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের চিন্তা অনুযায়ী কথা বলবে’
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:১০ | আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:১৮
ঢাকা: বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে পারছে না। অন্তবর্তিকালীন সরকার বিপ্লবের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। এই সরকারকে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। সেই প্রত্যাশা পূরণে ঘাটতি থাকলে, রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের চিন্তা অনুযায়ী কথা বলবে।’
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল মহানগর উত্তরের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘রাস্তার মোড়ে মোড়ে চাঁদাবাজদের ধরুন। অনেক সময় পুলিশ খাদ্যপণ্যের গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায় করছে। এগুলো বন্ধ করলেই দাম কমে আসবে। আমরা এটা বলি না যে সরকারের কোনো লোক এটা করছে। কিন্তু শক্তিশালী প্রশাসনিক নির্দেশনা থাকলে রাস্তায় রাস্তায় চাঁদাবাজি হতো না। মানুষকে এই পরিস্থিতি যদি আগের আমলের চেয়ে স্বস্তি দিতে না পারে তাহলে মানুষ হতাশ হবে।’
তিনি বলেন, ‘খাদ্যপণ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমেনি। জাতীয়তাবাদী কৃষক দল শাকসবজি নিজেরা কিনে ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি করছে। এটাই হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের বৈশিষ্ট্য। দুর্গম চরে কৃষককে শস্য উৎপাদনেও সহযোগিতা করছে কৃষক দল। দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কৃষক দল কৃষি উন্নয়নে কাজ করবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা ছেলেরা যদি কৃষকের জন্য কাজ করে সেই কৃষির উন্নয়ন দ্রুত হবে।’
রিজভী বলেন, ‘যখন গণতন্ত্র ছিল না তখন আমাদের আন্দোলন করতে হয়েছে। শেখ হাসিনার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে, বিশেষ করে তার প্রশাসনের সামনে বুকে সাহস নিয়ে দাঁড়াতে হয়েছে। আন্দোলন করতে গিয়ে অনেকে গ্রেফতার হয়েছে, অনেকে মৃত্যু বরণ করেছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করবে। কেউ হুমকিতে থাকবে না। কিন্তু আপনারা যদি প্রশাসনে শেখ হাসিনার দোসরদের লালন-পালন করেন, নারায়নগঞ্জে যুবদলের শাওন হত্যায় জড়িত এসপিকে যদি ডিসি হেডকোয়ার্টার বানান। তাহলে আপনি সমাজ থেকে কীভাবে চাঁদাবাজি বন্ধ করবেন? কীভাবে খুনোখুনি বন্ধ করবেন? কীভাবে হানাহানি বন্ধ করবেন? আপনাকে সুফি হওয়ার দরকার নেই, সাধক হওয়ার দরকার নেই। আপনি দেখুন কে অন্যায় করছে, তাকে গ্রেফতার করুন, আইনের আওতায় আনুন।’
রিজভী বলেন, ‘যুবদল নেতা, যিনি সিএনজি চালাত, সেই যুবদল নেতা হত্যাকারীকে ভালো পোস্টিং দিলে আপনি কীসের প্রশাসন চালাবেন। প্রশাসনের ভেতরে যে কালো দোসর ও ভূতগুলো আছে। তারা আপনাদেরকে এবং পরবর্তী পর্যায়ে যে সরকার আসবে তাদেরকে নানাভাবে বিনষ্ট করার চেষ্টা করবে। আপনাদের প্রাথমিক দায়িত্ব ছিল তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। তা না করে যদি আপনারা ভালো পোস্টিং দেন, পদন্নোতি দেন তাহলে কিন্তু মানুষ ভালো চোখে দেখবে না।’
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, দফতর সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শামসুর রহমান শামস প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/এসডব্লিউ