রাষ্ট্রপতির কাছে কয়েকজন বিচারপতির বিষয়ে তথ্য প্রেরণ
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৩২ | আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:১৮
ঢাকা: সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন বিচারপতির অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে তথ্যাবলী রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নিউজ আপডেটে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন বিচারপতির বিষয়ে তথ্যাবলী রাষ্ট্রপতির নিকট ইতোমধ্যে প্রেরণ করেছে।’
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণের বিধান সংক্রান্ত সংবিধানের বহুল আলোচিত ষোড়শ সংশোধনীর ‘রিভিউ’ পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে গত ২০ অক্টোবর রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ থেকে বাতিল হওয়া ২ থেকে ৮ উপ-অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল (রিস্টোর) করে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ ঐতিহাসিক রায় দেন। ফলে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় বহাল হয় এবং বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছ থেকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে পুনর্বহাল হয়।
সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদে পুনর্বহাল হওয়া ৩ উপ-অনুচ্ছেদে বলা আছে, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠিত হবে প্রধান বিচারপতি এবং আপিল বিভাগের দুজন জ্যেষ্ঠ বিচারককে নিয়ে। কাউন্সিলের কোনও সদস্য যদি অনুপস্থিত থাকেন, অসুস্থতা কিংবা অন্য কোনো কারণে কাজে অসমর্থ হন অথবা কাউন্সিলের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধেই যদি তদন্ত চলে, সেক্ষেত্রে পরবর্তী জ্যেষ্ঠ বিচারক কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে কাজ করবেন। কাউন্সিলের দায়িত্ব সম্পর্কে ৪ উপ-অনুচ্ছেদে বলা আছে, বিচারকদের জন্য পালনীয় একটি আচরণবিধি কাউন্সিল নির্ধারণ করে দেবে এবং একজন বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে সে বিষয়ে তদন্ত করবে।
৫ নম্বর উপ-অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কাউন্সিল অথবা অন্য কোনো সূত্র থেকে রাষ্ট্রপতি যদি জানতে পারেন যে, কোনো বিচারক শারীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে দায়িত্ব পালনের অযোগ্য হয়ে পড়েছেন বা তার বিরুদ্ধে গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ রয়েছে, তাহলে রাষ্ট্রপতি কাউন্সিলকে বিষয়টি তদন্ত করে ফলাফল জানানোর নির্দেশ দিতে পারেন। তদন্ত করার পর কাউন্সিল যদি সংশ্লিষ্ট বিচারকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ বা তার অসমর্থ্যতার প্রমাণ পায় এবং বিষয়টি রাষ্ট্রপতিকে জানায়, তাহলে ৬ উপ-অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি ওই বিচারককে অপসারণের আদেশ দেবেন। আর ৭ উপ-অনুচ্ছেদে বলা আছে, তদন্তের ক্ষেত্রে কাউন্সিলই নিজের কর্মপদ্ধতি ঠিক করবে এবং সুপ্রিম কোর্টের মতো ক্ষমতা ধারণ করবে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ