ভিসা ছাড়াই যাওয়া যাবে পূর্ব তিমুর, চুক্তি সই
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:০২ | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ০১:৫৩
ঢাকা: কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুর। এ চুক্তির ফলে পূর্ব তিমুরে যেতে হলে কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের জন্য ভিসা প্রয়োজন হবে না। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ প্রক্রিয়া (বিসিএম) প্রতিষ্ঠায় সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে এই চুক্তি সই হয়। চুক্তি সই শেষে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ভিসা অব্যাহতি চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন দ্বিপাক্ষিক পরামর্শক প্রক্রিয়া (বিসিএম) চুক্তিতে। উভয় চুক্তিতেই পূর্ব তিমুরের পক্ষে সই করেন দেশটির পররাষ্ট্র ও সহযোগিতাবিষয়ক মন্ত্রী ড. বেনডিটো দস সান্তোস ফ্রেইটাস।
ভিসা অব্যাহতি চুক্তির আওতায় দুই দেশের কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই একে অন্যের দেশে প্রবেশ, অবস্থান ও প্রস্থান করতে পারবেন। অন্যদিকে বিসিএম চুক্তির আওতায় দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
চার দিনের সফরে শনিবার রাতে ঢাকায় আসেন প্রেসিডেন্ট হোর্তা। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় হোর্তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সফররত প্রেসিডেন্ট সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তিনি ওইদিন সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। তিনি বাংলাদেশের ৫৪তম বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।
প্রেসিডেন্ট হোর্তা ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএস) অডিটরিয়ামে ‘দা চ্যালেঞ্জেস অব পিস ইন দ্যা কনটেম্পোরারি ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক থিমের ওপর বক্তৃতা করবেন। পরে তিনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও তরুণ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করবেন। একই দিন বিকেলে তিনি বাংলাদেশের ছাত্র এবং তরুণদের উদ্দেশ্যে তার দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অভিজ্ঞতা, তার নেতৃত্ব, দীর্ঘ সংগ্রামে জনগণের ভূমিকা ও স্বাধীনতা পরবর্তী তিমুর লেস্তের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও তার বাস্তবায়ন সম্পর্কে সম্যক বক্তব্য রাখবেন।
সারাবাংলা/ইউজে/এসআর