বিজয় দিবসের আলোকসজ্জায় শহিদ আবু সাঈদ
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:৩৪ | আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:৪০
ঢাকা: রাত পোহালেই মহান বিজয় দিবস। ৫৪তম বিজয় দিবস পালনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হয়েছে। এবারের বিজয় দিবসের আলোকসজ্জা ব্যতিক্রমী। ছাত্র-আন্দোলনে শহিদ আবু সাঈদের ছবির দেখা মিলছে দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জায়। এমন বর্নিল আলোকসজ্জায় দেখতে রাজধানীর মতিঝিল, সচিবালয় এলাকায় ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর বেশ কয়েকটা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলের প্রায় প্রতিটি সরকারি ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পাশাপাশি ব্যাংক, বীমা ভবনগুলোও সেজেছে বর্নিল সাজে। তবে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবারের বিজয় দিবসের আলোকসজ্জায় ভিন্নতা দেখা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আলোকসজ্জায় এবার ছাত্র-আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের ছবি দেখানো হচ্ছে। সেইসঙ্গে ওই সময়ে নিহত আরও শিক্ষার্থীদের ছবি, স্মৃতিসৌথ, জাতীয় ফুল শাপলা, বাংলাদেশের পতাকা দেখা যাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পুরাতন ভবনটি পুরোটাই লাল সবুজের লাইটে ভেসে উঠেছে স্মৃতিসৌধ।
মতিঝিলের শাপলা চত্বর ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, অফিস-আদালত, বাসা- বাড়ি, বিভিন্ন সড়ক, সড়কদ্বীপ ও ভবনে শোভা পাচ্ছে নানা রঙের বাতি। অধিকাংশ সরকারি ভবনগুলো সাজানো হয়েছে জাতীয় পতাকার আদলে। রক্তের লাল আর শ্যামল সবুজ বর্ণের আলোকসজ্জা যেন এক উজ্জ্বল পতাকা। সন্ধ্যা থেকেই রাজধানীর ঢাকার বিভিন্ন ভবনের সামনে ঘুরে ঘুরে বর্ণিল আলোকসজ্জা দেখে বেড়াচ্ছেন অনেকেই। দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা দেখে মুগ্ধ কর্মব্যস্ত মানুষ। অনেকে ঘুরে ঘুরে দেখছেনে আবার অনেকে সুন্দর এ দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করছেন। অনেকে পরিবার নিয়ে বেরিয়েছেন আলোকসজ্জা দেখতে।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজয় দিবস উদযাপনের কর্মসূচি জানানো হয়। সেখানে বলা হয় এবারও বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করবে সরকার। ১৬ ডিসেম্বর ভোরে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনৈতিকবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্থরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
১৬ ডিসেম্বর সরকারি ছুটির দিন। সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হবে।
সারাবাংলা/জেআর/এসআর