নাশকতা মামলায় ৫ ইউপি চেয়ারম্যানসহ কারাগারে ৭
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:১০ | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৩:২৮
মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার গ্রামের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার মামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ সাতজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে মানিকগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. লিয়াকত আলী মোল্লা আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামীরা হলেন— হরিরামপুরের বলড়ার ইউপি চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন কুন্নু, রামকৃষ্ণপুরের ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন, বাল্লার ইউপি চেয়ারম্যান বাচ্চু মিয়া, হারুকান্দির ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ও চালার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ এবং বয়রা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিদুর রহমান মহিদ ও চালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য কাজী বাদল।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মেজবাউল হক জানান, হাইকোর্টের মাধ্যমে আসামিরা ২৮ দিনের জন্য একটি নির্দেশনা পেয়েছিলেন। নির্দেশনায় ছিল, ২৮ দিনের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার বা হয়রানি করা যাবে না। ওই ২৮ দিন শেষ হওয়ায় রোববার দুপুরে আসামিরা মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়লা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেন।
পরে জামিনের জন্য আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে আদালতের বিচারক আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার হুমায়ন কবীর জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী হরিরামপুরের একটি নাশকতা মামলায় উপজেলার পাঁচজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ সাতজনকে কারাগারে রাখা হয়েছে।
২০২২ সালের ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার গ্রামের বাড়ি হরিরামপুরের আন্ধারমানিকে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ওই দোয়া মাহফিলে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করেন ও বিএনপির তিন নেতাকর্মীকে আহত করেন।
ঘটনার আড়াই বছর পর গত ২৯ অক্টোবর হরিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন খান ওরফে ভিপি দুলাল মানিকগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, উপজলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৮৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৬০ জনকে আসামি করে হরিরামপুর থানায় মামলা করেন।
সারাবাংলা/টিআর