Sunday 15 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশ-পূর্ব তিমুর সম্পর্ক প্রসারিত করার প্রত্যয় প্রধান উপদেষ্টার

সারাবাংলা ডেস্ক
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৫৫ | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৪:১৭

রোববার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস-হোর্তা। ছবি: পিআইডি

বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুরের মধ্যেকার সম্পর্ক ক্রমশ গভীর ও প্রসারিত করার প্রত্যয় জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। আমরা কিছু চুক্তি সই করেছি। তবে আমরা নিশ্চিত করছি, চুক্তির বাইরেও আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে ও প্রসারিত হবে।’

ঢাকায় সফররত পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস-হোর্তার সঙ্গে বৈঠকের পর রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট এরই মধ্যে সব বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীকে তার দেশে বিনিয়োগ করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং দুই দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া সম্পর্ককে আরও বৃদ্ধির জন্য উৎসাহিত করেছেন।

আরও পড়ুন- বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের

অধ্যাপক ইউনূস স্মরণ করন, যখন তিনি প্রথমবার পূর্ব তিমুর সফর করেছিলেন, তখন তিনি দেখেছিলেন যে বাংলাদেশের অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেশটির গ্রামের দোকানেও বিক্রি হচ্ছে। তিনি ওই দেশেই বাংলাদেশি পণ্য উৎপাদনে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এখনো অনেক বাংলাদেশি পূর্ব তিমুরে কাজ করছেন উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘তিমুরের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাংলাদেশ। আমরা এ সম্পর্ক অব্যাহত রাখব।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পূর্ব তিমুর শিগগিরই আসিয়ান ফোরামের সদস্য হবে। দেশটির প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেন, আসিয়ান সদস্য হিসেবে তার দেশ রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে আসিয়ানের সমর্থন নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।

বিজ্ঞাপন

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস-হোর্তা। ছবি: বাসস

বাংলাদেশের ৫৪তম বিজয় দিবস উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাজি হওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট রামোস-হোর্তাকে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে ধন্যবাদও জানান ড. ইউনূস।

বৈশ্বিক শান্তিতে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের অবদানের কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ১৯৯৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী রামোস-হোর্তা একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ও মহান লেখক। তিনি শুধু পূর্ব তিমুরের জনগণের জন্য নয়, বরং সারা বিশ্বের মানুষের জন্য কাজ করেন। রামোস-হোর্তা তার নোবেল পুরস্কারের সব অর্থ ক্ষুদ্রঋণের জন্য দান করেছেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, পূর্ব তিমুরের জন্ম বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই দেশটি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়েছিল। বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী পুলিশ বাহিনী পূর্ব তিমুরে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস-হোর্তাও যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

এর আগে দিনের শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন রামোস-হোর্তা। পরে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিনিধি-পর্যায়ের আলোচনা।

পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট ও তার সফরসঙ্গীরা ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন শনিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস তাকে গার্ড অব অনার ও গান স্যালুটের মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানান। বাসস।

সারাবাংলা/টিআর

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জোসে রামোস হোর্তা পূর্ব তিমুর পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট প্রধান উপদেষ্টা

বিজ্ঞাপন

মহান বিজয় দিবস আজ
১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ০০:২২

চলে গেলেন ওস্তাদ জাকির হুসেন
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:১১

আরো

সম্পর্কিত খবর