Monday 16 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রামে বিজয় দিবসে বিভিন্ন সংগঠনের শ্রদ্ধা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:৩৭ | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৮

ছবি: সারাবাংলা/শ্যামল নন্দী

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিজয় দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছে চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠন।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর নিউমার্কেট এলাকার মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল এবং কলেজ চত্বরে অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এদিন সকাল থেকেই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্কসবাদী), ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন, মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্ট, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিস, বোধন আবৃত্তি পরিষদ, উদীচী, প্রমা আবৃত্তি সংগঠন, তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ বিভিন্ন সংগঠন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধারা গত ৫৩ বছর ধরে কোনো সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারিনি। আজও সে অবস্থা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে হবে। শাসন ব্যবস্থার কাঠামো সংস্কার ছাড়া রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকার আমরা পাব না। নতুন প্রজম্মকে আহবান জানাবো আপনারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শাসন ব্যবস্থা কাঠামো সংস্কারের চিন্তাভাবনা করবেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ তার রাজনৈতিক, সামাজিক ও মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা লাভ করবে। ঔপনিবেশিক শাসন কাঠামো। ভেঙে একটি স্বাধীন দেশের শাসন কাঠামো করলে।আমরা মুক্তি পাব।’

বিজ্ঞাপন

ছবি: সারাবাংলা/শ্যামল নন্দী

সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অশোক।সাহা বলেন, ১৯৭১ সালে যে স্বপ্ন নিয়ে লাখো-কোটি মানুষ বুকের রক্ত দিয়েছে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে সেটা বাস্তবায়িত হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের পর যে প্রগতির সূচনা বাংলাদেশে হয়েছিল সেটা এখন আর নেই। এখন অন্ধকারের দিকে আমাদের দেশ এগিয়ে চলছে। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের যে স্বপ্নসাধ একটি শোষণমুক্ত, লুটপাটমুক্ত বাংলাদেশ সেটা এখনও আমরা পাইনি। মুক্তির জন্য অনেক বলিদান হয়েছে। ক্ষমতাশীল গোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশকে লুটের রাজত্বে পরিণত করেছে। সেটার বিপরীতে প্রগতিশীল, মানবিক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়টে একটি নতুন বিকল্প শক্তি গড়ে তুলতে হবে। এ নতুন শক্তি গড়ার মধ্যে দিয়ে আমাদের দেশের মানুষের যে সংকট সেটা নিরসন হবে।’

ছবি: সারাবাংলা/শ্যামল নন্দী

মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সমন্বয়কারী সৈয়দ আবদুল গণি বলেন, ‘বিজয় দিবসের ঐতিহ্য কখনও মুছা যাবে না। দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এ স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি। আমরা স্বাধীনতা রক্ষার্থে তখনও যুদ্ধ করেছি, এখনও আত্মত্যাগ করছি। এখনও বিভিন্ন বৈষম্যবিরোধী কাজ চলছে। আমরা সজাগ আছি। কিন্তু আমাদের যে তরুণরা আছে তারা যদি সজাগ না হয় তাহলে স্বাধীনতা রক্ষা আরও কঠিন হয়ে যাবে। স্বাধীনতা রক্ষা করাই বড় এবং কঠিন কাজ।

প্রতিবছর বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হলেও এবার সেটা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আইসি/ইআ

চট্টগ্রাম বিজয় দিবস শ্রদ্ধা নিবেদন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর