Monday 16 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উচ্ছ্বাস আনন্দে সারাদেশে বিজয় দিবস পালিত

সারাবাংলা ডেস্ক
১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:২১ | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:১৬

সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হচ্ছে মহান বিজয় দিবস। ছবি: সারাবাংলা।

আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশের দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছিল। আজ বিজয়োল্লাসে ভাসবে দেশ, আনন্দে উদ্বেলিত গোটা জাতি। রাজধানী ঢাকা থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত নানা আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে দিনটি। দেশের বিভিন্ন জেলায় বিজয় দিবসের আয়োজন নিয়ে জানাচ্ছেন সারাবাংলার করেসপন্ডেন্টরা—

বিজ্ঞাপন

নরসিংদী: নরসিংদীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৬টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়। শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী, পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান, সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ আমিরুল হক শামীমসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক , সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।

বিজ্ঞাপন

দীর্ঘদিন পর পুস্পস্তবক অর্পণে অংশ নিয়েছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতৃবৃন্দ। জেলা শাখার সদস্য সচিব মনজুর এলাহীর নেতৃত্বে বেধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা। এর আগে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নরসিংদী কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা হয়। এছাড়াও নরসিংদীর পৌর পার্কে বিজয় মেলা, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনাসহ নানা আয়োজনে পালিত হয় দিবসটি।

নওগাঁ: বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর কৃতজ্ঞতায় মহান বিজয় দিবস পালন হয়েছে নওগাঁয়। তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরের মুক্তির মোড়ে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়াল, পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধারা, সিভিল সার্জন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের ছাত্ররাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দল ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। দিনভর শ্রদ্ধা নিবেদনে ফুলে ফুলে ভরে উঠবে এই শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভ।

যশোর: যশোরে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে মহান বিজয় দিবস। এ উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, গ্রামীণ খেলাধুলার আয়োজন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান, আলোচনাসভা, পুরস্কার বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ছিল দিনব্যাপী। প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠন এসব আয়োজন করে। জেলার টাউনহল ময়দানে বিজয় মেলারও আয়োজন করা হয়।

সকালে যশোরের বিজয়স্তম্ভে মহান মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে প্ষ্পুার্ঘ্য অর্পণ করে বিভিন্ন সংগঠন। এর মধ্যে ছিল জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা, যশোর শিক্ষা বোর্ড, রাজনৈতিক দল, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠনসহ শতাধিক প্রতিষ্ঠান।

মাগুরা: মহান বিজয় দিবসে মাগুরায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে শহিদদে শ্রদ্ধা জানানো হয়। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এর আগে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয় এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পায়রা অবমুক্ত করা হয়।

এছাড়া, বিজয় মেলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, সকল মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ দোয়া। হাসপাতাল, জেলখানা সরকারি শিশু পরিবার এবং এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, স্বেচ্ছায় রক্ত দান ও প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলার আয়োজন করা হয়।

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় যথাযত মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শহিদদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানান
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান ও পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। এছাড়াও জেলার মুক্তিযোদ্ধারা, জেলা পরিষদ, সিভিল সার্জন অফিস, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিজয় দিবস পালন করেন।

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদা পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়ামে তপোধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা হয়। সকালে গুরুদয়াল সরকারি কলেজ প্রাঙ্গনে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী। এরপর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়াও আয়োজন করা হয়েছে বিজয় মেলার।

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক শরিফা হক, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু, পৌরসভার প্রশাসক শিহাব রায়হানসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এদিকে, সকালে জেলা বিএনপির উদ্যোগে একটি বিজয় মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। পরে টাঙ্গাইল শহিদ স্মৃতি পৌর উদ্যোনে গিয়ে শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এসময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল প্রমুখ।

কক্সবাজার: নানান আয়োজনে কক্সবাজারে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পূষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষ। দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করেছে জেলা প্রশাসন।

এ উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন। সভায় বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিজামউদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. ইয়ামিন হোসেন, প্রেসক্লাব সভাপতি মাহবুবর রহমান, ছাত্র সমন্বয়ক সাহিদুল ওয়াহিদ সাহেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। সভা শেষে ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্মানীভাতা প্রদান করা হয়। পরে দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় যথাযোগ্য মর্যদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় শহিদ হাসান চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের শুভসূচনা করা হয়। এ দিবসকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। এদিন সকাল ৭টায় স্থানীয় শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সামনে বিজয় মেলা উদ্বোধন করা হয়। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধভিত্তিক চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা ও মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ ও যুদ্ধাহত পরিবারের সম্মানে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

নেত্রকোনা: নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে নেত্রকোনায় মহান বিজয় দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উদ্বোধন করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস। দিবসটি পালন উপলক্ষে শহিদদের স্মরণে তাদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, বিজয় মেলা উদ্বোধন করা হয়।

সাতপাই শহীদদের স্মরণে তাদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রশাসনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। তারপর ঐতিহাসিক মোক্তার পাড়া মাঠে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক। এসময় পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

পাবলিক হলে আলোচনা সভায় সমন্বয়ক, নাগরিক কমিটি, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাদের বক্তব্য দেন। উপস্থিত ছিলেন সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খান, মুক্তিযোদ্ধা মান্নান তালুকদার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. আনোয়ারুল হক, সদস্য সচিব ডা. রফিকুল ইসলাম হিলালি, সালাউদ্দিন খান মিল্কি, সাবেক ছাত্রনেতা এস এম মুসা, এস এম মুসা, এস এম মনিরুজ্জামান দুদু, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সারওয়ার আলম ‍এলিন ও সম্পাদক অনিক মাহবুব।

মুন্সিগঞ্জ: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সর্বস্তরের মানুষ। সকালে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শামসুল আলম সরকার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট কমান্ড, মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাব বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংষ্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এসময় শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিনব্যাপী বিজয় মেলা উদ্বোধন, শহিদ বীরমুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

ময়মনসিংহ: যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভাগীয় জেলা ময়মনসিংহে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সুর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বণির মধ্যদিয়ে দিবসের সূচনা হয়। পরে নগরীর পাটগুদাম ব্রীজমোড় সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদ।

এছাড়াও রেঞ্জ ডিআইজি ড. মো. আশরাফুর রহমান, জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, পুলিশ সুপার আজিজুল ইসলাম, সিটি করপোরেশন প্রশাসক, জেলা পরিষদ প্রশাসক, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর আবু তাহের, সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম, বিএনপি’র সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলুসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

বগুড়া: শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন ও নানা কর্মসুচির মধ্যে দিয়ে বগুড়ায় বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিলো মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে শহীদ স্মৃতি সৌধে পুস্পমাল্য অর্পন, আলোচনাসভা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিজয় র‌্যালি ও পতাকা মিছিল।

রাবি: বর্ণাঢ্য আয়োজনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ৫৪ তম বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে আলোচনা সভা ও তিনজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও বদ্ধভূমিতে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব। এসময় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করেছে। বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি-রাবিসাস, বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার’স ইউনিটি-রুরু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে।

রংপুর: রংপুরে শহিদদের স্মরণ আর যথাযোগ্য মর্যাদার মধ্যদিয়ে বিজয় দিবস পালন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

এসময় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি সুসজ্জিত দল শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদর্শন করে। শ্রদ্ধা নিবেদন করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহীদুল ইসলাম, পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, পুলিশ সুপার শরীফ আহমেদ। এছাড়াও জেলার সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দফতর, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ শহদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

সকাল সাড়ে ১০টায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে উদ্বোধন করা হয় দিনব্যাপী বিজয় মেলার। বেলা ১১টায় রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। এতে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অতিথি ছিলেন।

এদিকে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও বর্ণাঢ্য আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করে। প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ গেট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলীর নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রা বের করা হয়।

খুলনা: খুলনায় মহান বিজয় দিবস উপলেক্ষ্যে শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠানসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা দ্বারা সজ্জিত করা হয়।

এছাড়াও হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা, শিশুসদনগুলোতে দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদজোহর নগরীর মসজিদগুলোতে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। নৌ-বাহিনীর জাহাজ জনসাধারণের দর্শনের জন্য বিআইডব্লিউটিএ রকেট ঘাটে বেলা দুইটা হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উম্মুক্ত রাখা হয়।

সারাবাংলা/এসআর

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস সারাদেশে বিজয় দিবস পালিত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর