২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে সরকারের বৈদেশিক ঋণ ৮৩২১ কোটি ডলার
১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:৪৮ | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:৫০
ঢাকা: গত ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে বা চলতি পঞ্জিকা বছরের জুন শেষে সরকারের মোট পুঞ্জিভূত বৈদেশিক ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৩২১ কোটি ৪০ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এটি জিডিপি’র ১৮ দশমিক ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ৬০৪ দশমিক ৮৭ ডলার। এ হিসাব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।
অর্থ বিভাগের মতে, করোনাকালীন এবং করোনা পরবর্তী সময়ে সরকারের ঋণ বেড়ে যাওয়ায় সার্বিক ঋণ স্থিতি বেড়েছে। তবে এটি এখনো ঝুঁকিসীমার অনেক নিচে রয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর ‘টেকসই ঋণ কাঠামো’ (ডেট সাসটেইনেবল ফ্রেমওয়ার্ক-ডিএসএফ)-এর মানদণ্ড অনুযায়ী জিডিপির ৭০ শতাংশ ঋণকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অর্থ বিভাগ জানায়, সরকারের ঋণ ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়নে স্টেক-হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান ‘মধ্য মেয়াদি ঋণ ব্যবস্থাপনা কৌশল’ আরও আধুনিকায়ন করা হবে এবং আঙ্কটাড’র কারিগরি সহায়তায় অর্থ বিভাগে ‘ডেট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিস সিস্টেম’ নামে একটি কাস্টমাইজ ডাটাবেজ স্থাপন করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, সরকারের পুঞ্জিভূত মোট বৈদেশিক ঋণের মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারের গৃহীত ৭ হাজার ১০৪ কোটি ৪০ লাখ ৮০ হাজার ডলার হচ্ছে সাধারণ ঋণ। এ ঋণের পুরোটাই দীর্ঘ মেয়াদি। এখানে কোনো স্বল্প মেয়াদি ঋণ নেই। অবশিষ্ট ১ হাজার ২১৬ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের। এসব ঋণের মধ্যে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি উভয় ধরনের ঋণই রয়েছে।
সূত্র মতে, সরকারের কেন্দ্রীয় ঋণের মধ্যে ৭ হাজার ১৭ কোটি ২৭ লাখ ১০ হাজার ডলার হচ্ছে সাধারণ ঋণ এবং অবশিষ্ট ৮৭ কোটি ১৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার ঋণ নেওয়া হয়েছে বন্ড থেকে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক ঋণের মধ্যে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ রয়েছে। এর মধ্যে স্বল্প মেয়াদি ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ২৭৮ কোটি ৯৭ লাখ ১০ হাজার ডলার। এ ঋণের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ১৪৪ কোটি ৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার, রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ৫৬ কোটি ৯২ লাখ ২০ হাজার ডলার এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার ৭৮ কোটি ৫০ হাজার ডলার ঋণ রয়েছে।
অন্যদিকে, প্রাতিষ্ঠানিক দীর্ঘ মেয়াদী ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ৯৩৮ কোটি ২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এ ঋণের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৩২৪ কোটি ৮৭ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার ৬১৩ কোটি ১৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার ঋণ রয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কোনো দীর্ঘ মেয়াদি বৈদেশিক ঋণ নেই।
সারাবাংলা/আরএস/পিটিএম