Monday 16 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘রাষ্ট্র ও সংবিধান সংস্কারের কাজ সংসদের’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৪১ | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:২১

বিজয় দিবসের র‍্যালির আগে আয়োজিত সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

চট্টগ্রাম ব্যুরো: রাষ্ট্র ও সংবিধান সংস্কারের কাজ সংসদের বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, এটা হচ্ছে আগামী সংসদের কাজ, বাংলাদেশের মানুষের কাজ। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে, যেভাবে বিগত দিনে নিয়েছে।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর দুই নম্বর গেইটের বিপ্লব উদ্যানে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বের করা র‍্যালির আগে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি এ র‍্যালির আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আগামী দিনের সংস্কারের কথা যদি বলা হয়, আমরা ৩১ দফা সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি। প্রতিজ্ঞা করেছি, বিএনপিসহ প্রায় ৫০টি দলের ঐক্যমতে আমরা আমাদের ৩১ দফার সংস্কার পরিপূর্ণভাবে পালন করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিগত দিনের রাজনীতিবিদরা যেহেতু সফল হয়নি, তার জন্য রাজনীতিবিদরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। রাজনীতিবিদরা তার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের আগামী দিনের রাজনৈতিক পথ সঠিক পথে চালাবে। সেটাই গণতন্ত্র, এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

গণতন্ত্রের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই মন্তব্য করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘রাজনীতিবিদরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। সে প্রেক্ষিতে তাদের আগামী দিনের রাজনৈতিক পথ সঠিক পথে চালাবে চালাতে হবে। সেটাই গণতন্ত্র, এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের জন্য চট্টগ্রামের গুরুত্ব অনেক বেশি জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আজকের এই দিনে চট্টগ্রামের গুরুত্ব অনেক বেশি। বিপ্লব উদ্যান থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। প্রধান ও প্রথম মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছেন জিয়াউর রহমান। এ চট্টগ্রামের রেডিও স্টেশন থেকে প্রথম জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। আজ স্বাধীনতা পাওয়ার পেছনে যুদ্ধের যে প্রেরণা, স্বাধীনতা যুদ্ধের যে প্রেরণা, সেটা চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় গর্বের।’

বিজ্ঞাপন

স্বাধীনতার এত বছর পরেও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু বলেন, ‘স্বাধীনতার এত বছর পরেও আমরা এখনো গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি। অথচ স্বাধীনতার পর যখন বাকশাল হয়, এ বাকশালের মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দলের মুখ বন্ধ করে দেয়। সমস্ত সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়। বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রিত করে এবং মুক্তিযোদ্ধাসহ দেশের লাখো মানুষের ওপর গুম, খুন, নিপীড়ন, নির্যাতন চালানো হয়। সেখান থেকে দেশকে ফের মুক্ত করেছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।’

তিনি বলেন, ‘যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, সেই সংস্কার প্রথম করেছেন জিয়াউর রহমান। প্রথম সংস্কারটা হলো- একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র। এটা ছিল প্রথম সংস্কার বাংলাদেশের। সংস্কার, সংস্কার যারা বলে তারা এগুলো বুঝে নাই, চিন্তা করে নাই। দ্বিতীয় সংস্কার হলো সরকারচালিত অর্থনীতি, যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বাকশালরা লুটপাট করে দেশের দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছিল। সেখানে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তৃতীয় সংস্কার করেছিলেন, মুক্ত বাজার অর্থনীতির মাধ্যমে।’

আমীর খসরু বলেন, ‘সে মুক্তবাজার অর্থনীতির মাধ্যমে সব বাংলাদেশি অর্থনীতিতে অংশগ্রহণের সমান অধিকার পেয়েছিল। এ জন্য শ্রমিক, কিশোর, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী মিলে আরেকটি নতুন বাংলাদেশ গড়েছিল সেদিন। সেটা শহিদ জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে গার্মেন্টস শিল্প নীতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটা বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রথম পিলার প্রথম শক্তি।’

‘বিদেশে মানুষ পাঠিয়ে যে রেমিটেন্স আজ বাংলাদেশে আসছে, দেশের মানুষ বাইরে গিয়ে কাজ করছে, সেটার অবদান জিয়াউর রহমানের।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আরও সংস্কার বাংলাদেশের স্বৈরাচারের পতনের পরে সংসদীয় গণতন্ত্রকে প্রবর্তন করেছিল বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সমস্ত সংস্কারের মাধ্যমে আজ যে অর্থনীতি বাংলাদেশে দাঁড়িয়েছে, এটা হচ্ছে বিএনপির অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে। আজও বাংলাদেশ সেখানে দাঁড়িয়ে আছে।’

এ সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, নগর বিএনপির আহবায়ক। এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম

জনগণ টপ নিউজ রাষ্ট্র ও সংবিধান সংস্কার

বিজ্ঞাপন

বাসায় ফিরেছেন মির্জা ফখরুল
১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর