Monday 16 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি কেন?— বিজয় দিবসে জামায়াত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:২৭ | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:৩৫

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে পল্টন মোড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশ। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি কেন? এমন প্রশ্ন রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, স্বাধীনতা ছিনতাই করে এক পরিবারের সম্পদ বানানো হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমান কবে, কোথায় স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন সেটি এদেশের কারও জানা নেই। ৭ মার্চ যদি শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা সংগ্রামে ডাক দিয়ে থাকেন, তাহলে ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে শেখ মুজিবুর রহমান নিজের বাসভবনে কেন পাকিস্তানের পতাকা ঝুলিয়েছিলেন?- তৎকালীন ছাত্ররা সেই পতাকা খুলে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে পল্টন মোড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিক্রি করে দিয়েছে তারাই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তারা যে দেশের আদর্শ ধারণ ও লালন করে সেই দেশেই চলে গেছে। শেখ হাসিনা এদেশে ফিরে এসেছে শুধুমাত্র তার পিতার হত্যার প্রতিশোধ নিয়ে ভারতের কাছে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ক্ষমতার বিনিময়ে বন্ধক দিতে। শেখ মুজিবকে কারা হত্যা করেছে?- স্বাধীনতার স্বপক্ষের সেনা সদস্যরা হত্যা করেছে। কেন করেছে?- কারণ শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে বেরিয়ে বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদের যাত্রা শুরু করেছিল। তার কন্যাও পরবর্তী সময়ে ভারতের তাবেদারি করতে এদেশের আলেম-ওলামা, ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক সাধারণ জনগণকে হত্যা করছে।’

তিনি বলেন, “এই পল্টন ময়দানে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষকে সাপের মতো পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদ আবু সাঈদের বক্তব্য ছিল ‘বুকের ভিতর তুমুল ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর’- এই তুমুল ঝড় এদেশের ১৮ কোটি জনগণের বুকের ভেতরের ঝড়। জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ০৫ আগস্ট পর্যন্ত সকল হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত ও ন্যায় বিচার করা হবে।’

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, ‘এই বিজয় দিবসের অঙ্গীকার হবে- ভারতীয় আধিপত্যবাদ নিপাত যাক, পরাজিত শক্তি ভারতের দোসর আওয়ামী লীগ নিপাত যাক; জাতীয় স্বার্থে সকল বিভেদ ভুলে আমরা ঐক্যবদ্ধ।’ তিনি ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সকল রাজনৈতিক দলকে এক কাতারে শামিল হওয়ার আহ্বান হানান।

বিজ্ঞাপন

সমাবেশে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির ও অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, কামাল হোসেন, ড. আব্দুল মান্নান, ইসলামী ছাত্র শিবির ঢাকা মহানগর পূর্ব সভাপতি মুজাফফর হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনা পল্টন মোড়ে অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সমাবেশ রূপ নেয় জনসমুদ্রে। সকাল ১০টায় সমাবেশ শুরুর নির্ধারিত সময়ের আগেই পল্টন মোড় থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত বিজয় সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মী ও জনসাধারণের অংশগ্রহণে মুখরিত হয়ে উঠে।

সমাবেশ শেষে ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে বিজয় র‍্যালি পল্টন মোড় থেকে প্রেসক্লাব, মৎস্যভবন, কাকরাইল মোড় হয়ে ফের পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।

সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ জিয়াউর রহমান টপ নিউজ স্বাধীনতার ঘোষক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর