Tuesday 17 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্কুলে ভর্তির লটারি প্রক্রিয়া শেষ, দুপুর ২টা থেকে জানা যাবে ফল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:২৫ | আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:১৯

লটারি কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তিতে ডিজিটাল লটারির উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১২টায় রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে লটারি কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা) অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম। এ সময় তিনি কম্পিউটারে বাটন চেপে সরকারি স্কুলের লটারির উদ্বোধন করেন। এরপর একই পদ্ধতিতে বেসরকারি স্কুলের লটারির উদ্বোধন করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের।

বিজ্ঞাপন

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দ্বৈবচয়ন পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে কে, কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে, তা নির্ধারণ করে দুপুর ২টার পর ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। মাউশির দেওয়া লিংকে প্রবেশ করে নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফলাফল ডাউনলোড করা যাবে বলে জানানো হয়।

এছাড়া টেলিটক সিম ব্যবহার করে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমেও ফলাফল জানা যাবে। মোবাইল মেসেজ অপশনে গিয়ে GSA ResultUser ID লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে।

মাউশির তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে মাউশির আওতাধীন ৬৮০টি সরকারি ও তিন হাজার ১৯৮টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১২ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে ভর্তি আবেদন নেওয়া হয়।

নির্ধারিত সময়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য ৬৮০টি সরকারি বিদ্যালয়ে এক লাখ আট হাজার ৭১৬টি শূন্য আসনের বিপরীতে ছয় লাখ ৩৫ হাজার ৭২টি আবেদন জমা পড়ে।

আর তিন হাজার ১৯৮টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে মোট ১০ লাখ সাত হাজার ৬৭৩টি শূন্য আসনের বিপরীতে তিন লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭টি আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনগুলো থেকে ভর্তির লক্ষ্যে শ্রেণিভিত্তিক বণ্টন কার্যক্রমে ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলা হয়, লটারিতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরকারি নিয়মে ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী- সাধারণ, ক্যাচমেন্ট, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে-মেয়ে, অক্ষম, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতিবন্ধী কোটাসহ নিয়মানুযায়ী সব কোটা বিবেচনা করা হয়েছে।

এছাড়া শূন্য আসন থাকা সাপেক্ষে এবং প্রার্থীর স্বস্ব ক্ষেত্রে ক্লাস, শিফট ও পছন্দের ক্রমানুযায়ী বাছাই প্রক্রিয়া শেষ করা হয়। ডিজিটাল অনলাইন লটারি কার্যক্রমে সফটওয়্যারের মাধ্যমে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করা হয়েছে। মাউশি ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল অনলাইন লটারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী নির্বাচন কার্যক্রমে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও জানানো হয় অনুষ্ঠানে।

সারাবাংলা/জেআর/ইআ

স্কুলে ভর্তির লটারি