রাশিয়ায় ইউক্রেন সংঘাতে উ. কোরিয়ার সৈন্য নিহত
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:০৫ | আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:০৪
রাশিয়ার কুরস্ক সীমান্ত অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে উত্তর কোরিয়ার সেনারা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
অক্টোবরে উত্তর কোরিয়া প্রায় ১০ হাজার সেনা রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করতে পাঠানোর পর এটিই প্রথমবারের মতো প্রাণহানির ঘটনা।
ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা (জিইউআর) জানিয়েছে, গত সপ্তাহান্তে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন উত্তর কোরিয়ার সেনা নিহত বা আহত হয়েছে।
জিইউআর জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সেনাদের হতাহতের ঘটনা শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ও রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) কুরস্কের প্লেখোভো, ভোরোবঝা এবং মার্টিনোভকা গ্রামে ঘটেছে।
যদিও বিবিসি স্বাধীনভাবে এই দাবিগুলো যাচাই করতে পারেনি। অনুমান করা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার সেনাদের পূর্বে যুদ্ধের কোনো অভিজ্ঞতা না থাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, কুরস্কে রাশিয়া তাদের আক্রমণের জন্য উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সৈন্য ব্যবহার শুরু করেছে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাস উত্তর কোরিয়ার সেনারা রুশ বাহিনীর সাথে কুরস্কে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে এবং প্রাণহানি ঘটেছে। সেনারা প্রায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধে নিযুক্ত রয়েছে।
তিনি নির্দিষ্ট সংখ্যা জানাননি, তবে বলেছেন, সেনারা প্রায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধে নিযুক্ত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার সেনারা পদাতিক বাহিনীর ভূমিকায় কাজ করছে এবং তাদের অংশগ্রহণ আপাতত কুরস্ক অঞ্চলে সীমাবদ্ধ রয়েছে। যার মানে, তাদের এখনও ইউক্রেনের অভ্যন্তরে মোতায়েন করা হয়নি।
রুশ বাহিনী ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার আক্রমণ শুরু করেছিল, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তারা দেশের পূর্বাঞ্চলীয় অংশে অগ্রসর হচ্ছে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি টেলিগ্রামে ড্রোন ফুটেজ পোস্ট করেন, যেখানে রুশ সেনাদের উত্তর কোরিয়ার উপস্থিতি আড়াল করার চেষ্টা দেখা গেছে। তিনি বলেন, রুশ সেনারা মৃতদের মুখ পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য আগুনের ব্যবহার করছে।
জেলেনস্কি আরও বলেন, রুশ বাহিনীর আসল ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করার জন্য ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা বিভাগ কাজ করছে। এই যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের মৃত্যুর কোনো কারণ নেই বলেও জানান তিনি।
ক্রেমলিন উত্তর কোরিয়ার সেনাদের মৃত্যু সংক্রান্ত প্রশ্ন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠালেও এখনও তাদের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য আসেনি।
সারাবাংলা/এনজে