Tuesday 17 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নবজাতকদের সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর জীবন নিশ্চিতে অধিক বিনিয়োগের তাগিদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৯ | আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:৩৬

ঢাকা: নবজাতকদের সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর জীবন নিশ্চিতকরণে অধিক পরিমাণ বিনিয়োগের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর জীবন নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের সবার। তাই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিএসএমএমউর নিওনেটোলজি (নবজাতক) বিভাগের অটোমেশন কার্যক্রম ও ইয়ার বুকের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে চিকিৎসা বিজ্ঞানে উদ্ভাবিত নতুন নতুন প্রযুক্তিগুলোকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে নবজাতকদের জটিল রোগের চিকিৎসাসেবায় আরও উন্নতির তাগিদ দেন বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলেন, নবজাতকদের জীবন রক্ষায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিউনেটোলজি বিভাগ উন্নতি করলেও জটিল রোগের চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে আরও অনেক উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে।

এজন্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রত্যেকের অর্জিত জ্ঞানকে তৃণমূল পর্যায়ে বিস্তৃত করে দেওয়ার তাগিদ দেন বিশেষজ্ঞরা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, বিএসএমএমইউতে যেসব গবেষণা হয় সেগুলো যাতে রোগীদের প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়, সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউনেটোলজি বিভাগ গবেষণায় বিশেষ অবদান রাখছে। কনজারভেটিভ ডেনটিসট্রি অ্যান্ড এন্ডোডনটিকস বিভাগের গবেষণা কর্মে সহায়তা করছে নিউনেটোলজি বিভাগ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার বলেন, নবজাতকদের সর্বাধুনিক উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে মাল্টিডিসিপ্লেনারি এপ্রোচকে কাজে লাগাতে হবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির কারণে অনেক প্রিমেচিউর বেবি এখন বেঁচে যাচ্ছে, এটা আশার কথা। কিন্তু শিশু সার্জারি, শিশু নিউরোলজির অনেক জটিল বিষয় রয়েছে, সেক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পেতে এখনও অনেক কাজের প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন উন্নতিকল্পে সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত। তবে সেক্ষেত্রে কিছু প্রসিডিউর অবশ্যই আমাদের সবাইকে মানতে হবে।

সাবেক উপ-উপাচার্য ও নবজাতক রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. সহিদুল্লা বলেন, প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অর্জিত জ্ঞানকে তৃণমূল পর্যায়ে বিস্তৃত করে দিতে হবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রযুক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে কোভিডের মতো মহামারি অবস্থাতেও থেমে থাকতে হবে না।

সভাপতির বক্তব্যে নবজাতক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল মান্নান বলেন, বিএসএমএমইউর নিউনেটোলজি বিভাগ শুধু এই প্রতিষ্ঠানে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গবেষণা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যে কারণে বিএসএমএমইউর গবেষণা দিবসে প্রতি বছরে এই বিভাগের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীরা পুরস্কৃত হন।

সারাবাংলা/এসবি/আরএস

বিজ্ঞাপন

সামনে এলেন ফেলুবক্সীর পরি
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:২৯

আরো

সম্পর্কিত খবর