চিন্ময়ের ১০ অনুসারী আরও এক মামলায় গ্রেফতার
১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:৩১ | আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:১১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার ১০ আসামিকে আরও এক মামলায় গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম পুলিশের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ আদেশ দিয়েছেন।
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে গত ২৯ নভেম্বর নগরীর কোতোয়ালী থানায় মোট দুটি মামলা হয়েছিল। তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছিলেন। আর তার ভাই খানে আলম হত্যাকাণ্ডের দিন আদালত প্রাঙ্গনে হামলা-ভাংচুর ও ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগে আরেকটি মামলা করেছিলেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আইনজীবী খুনের মামলায় গ্রেফতার হয়ে ১০ জন কারাগারে ছিলেন। এরপর নিহত আইনজীবীর ভাইয়ের করা মামলায় কোতোয়ালী থানা পুলিশ ১০ জনকে শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন করেন। আদালত সেটা মঞ্জুর করেছেন।’
আসামিরা হলেন— চন্দন দাস, আমান দাস, রুমিত দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, রাজীব ভট্টাচার্য্য, দুর্লভ দাস, সুমিত দাস ও সনু দাস।
এর আগে, সকাল ৮টার দিকে ১০ আসামিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে কারাগার থেকে আদালতে নেওয়া হয়। পৌনে ৯টার দিকে শুনানি শেষে তাদের আবার কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানা গেছে।
১০ আসামির সবাই ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত ২৫ নভেম্বর রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরদিন ২৬ নভেম্বর সকাল ১১টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বিক্ষোভ শুরু করেন তার অনুসারীরা। প্রায় তিনঘণ্টা আটকে থাকার পর একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে নগরীর লালদিঘীর পাড় থেকে কোতোয়ালী এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়। আইনজীবী সমিতি এ হামলার জন্য ইসকন সদস্য ও সমর্থকদের দায়ী করে আসছে।
সারাবাংলা/আরডি/ইআ