বাংলাদেশে বিনিয়োগে চীনা বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান বেপজার
১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:৪৫ | আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:০৪
ঢাকা : বাংলাদেশে বিনিয়োগের ‘সুবর্ণ সুযোগ’ অন্বেষণে চীনা বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)।
চীনের নিংবো শহরে বেপজা এবং নিংবো ডাস্যিঁয়ে চেম্বার অব কমার্স এর যৌথ আয়োজনে গত সোমবার (১৬ ডিসেম্বর ) অনুষ্ঠিত ‘বেপজাধীন ইপিজেড এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে বেপজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান এ আহ্বান জানান।
বুধবার বেপজা’র এক সংবাদ বিজ্ঞপিতে এ কথা জানানো হয়।
সেমিনারে বেপজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান চীনা বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলেন, আসুন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ অন্বেষণ করুন, যেখানে সম্ভাবনা মিলিত হয় কর্মক্ষমতায় এবং অংশীদারিত্ব ধাবিত করে সমৃদ্ধির পানে।
বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান ও গতিশীল অর্থনীতির গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংযোগ স্থলে অবস্থিত, যা আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বাজারে সহজ প্রবেশাধিকার প্রদান করে। আমাদের ১৮ কোটির বেশি জনসংখ্যা, যা প্রধানত তরুণ, শিক্ষিত ও অত্যন্ত দক্ষ, এমন একটি শক্তিশালী শ্রমশক্তি নিশ্চিত করে- যা ব্যবসাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।
বেপজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের মূল আকর্ষণ হল এদেশের সস্তা ও সহজে প্রশিক্ষণযোগ্য শ্রমশক্তি এবং শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি- যা এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের বিনিয়োগ নীতিসমূহ ক্রমাগত উদারীকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া, বেপজা প্রদত্ত ওয়ান স্টপ সার্ভিস ইপিজেডসমূহে বিনিয়োগকারীদের জন্য শিল্প স্থাপন ও পরিচালনা সহজ করেছে।
বেপজার ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোকপাত করে তিনি বলেন, এর মধ্যে রয়েছে মীরসরাই, চট্টগ্রামে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন, যেখানে ইতোমধ্যে ৪১টি প্রতিষ্ঠান শিল্প স্থাপনের লক্ষ্যে বেপজার সাথে চুক্তি সম্পাদন করেছে। এছাড়া, যশোর, পটুয়াখালী এবং গাইবান্ধা জেলায় তিনটি নতুন ইপিজেড স্থাপনের কাজও চলছে, যা ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত হবে।
সেমিনারে নিংবো ডাস্যিঁয়ে চেম্বার অব কমার্স-এর নির্বাহী পরিচালক চাও চুইং চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে বলেন, চীন বাংলাদেশের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, যেখানে প্রথাগত শিল্প যেমন পাট এবং চামড়া থেকে শুরু করে নতুন ক্ষেত্র যেমন ডিজিটাল অর্থনীতি এবং পরিবেশ রক্ষায় দু’দেশের সহযোগিতা বিস্তৃত হচ্ছে। আগামীতে চীন এবং বাংলাদেশের সহযোগিতা আরও বাড়বে, যা উভয় দেশের জন্য ফলপ্রসূ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সারাবাংলা/আরএস