‘আ.লীগের কারণে আমাদের বিজয় ছিনতাই হয়েছে’
১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:১১ | আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:১৪
যশোর: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের দোষে আমাদের বিজয় ছিনতাই হয়ে গেছে, আমাদের জনগণের কোনো ভুল নেই। ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ শেষে আমার দেশের সর্বাধিনায়ক এমএজি ওসমানীকে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে রাখা হয়নি। আত্মসমর্পণ হলো ভারতের জগোজিৎ সিং অরোরার কাছে, পাকিস্তানকে ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করানো হলো। আর সে জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের বিজয়কে তাদের বিজয় বলে দাবি করে।’
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে যশোরের টাউনহল ময়দানে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির ব্ক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা বিএনপি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে বাংলাদেশে এসে কোথায় সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে সরেজমিন দেখে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, ‘এভাবে কুৎসা রটিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে হিন্দু-মুসলমানের রায়ট করা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘সংখ্যালঘু তত্ত্বে আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা সবাই ভাই ভাই হিসেবেই এখানে বসবাস করি। এ দেশে আমাদের হিন্দু ভাইয়েরা, তাদের পরিবার নিরাপদে আছেন। আপনাদের দেশের টিভি ও প্রচারমাধ্যম যে অপপ্রচার চালাচ্ছে এর কোনোটাই সঠিক না।
ভারতীয় বিভিন্ন মিডিয়ায় তথাকথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের সংবাদের বিষয়ে প্রধান অতিথি বলেন, ‘আমাদের পাশেই তো মমতা দিদি রয়েছেন। আপনি একজন লড়াকু মানুষ। আপনাকে নিমন্ত্রণ জানাচ্ছি, আপনি এসে দেখে যান এদেশের সংখ্যালঘুরা কেমন আছেন। আপনি দেখে গিয়ে ওইসব টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকদের গিয়ে বলুন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে পথ দেখিয়েছেন।
আওয়ামী লীগকে মিথ্যা বলার দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা ৭১ সালে পালিয়েছিল, ৭৫ এ পালিয়েছে এবং ২৪ এর গণঅভ্যুতত্থানের পরও পালিয়েছে। ৪ আগস্ট পর্যন্ত দেশের গাছের পাতা পর্যন্তও আওয়ামাী লীগ ছিল এখন কারো খোঁজ নেই।
যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, আবুল হোসেন আজাদ, মফিকুল হাসান তৃপ্তি, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু।
আলোচেনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সারাবাংলা/এসআর