শহিদ আবু সাঈদকে কটূক্তি
মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিছকে গ্রেফতার ও জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহারের দাবি
১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:৫৩
কিশোরগঞ্জ: শহিদ আবু সাঈদকে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিছ আলী ভূঁইয়াকে গ্রেফতার ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানকে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের জেলা শাখার অন্যতম সমন্বয়ক ইকরাম হোসেন, অভি চৌধুরী, শেখ মুদ্দাসসির তুশি, শহিদ তরিকুল ইসলাম রুবেলের বড় ভাই জুয়েল আহমেদ, আফসানা আক্তার মীম অংশ নেন।
সমন্বয়ক ইকরাম হোসেন বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিছ আলী ভূঁইয়া শহিদ আবু সাঈদকে নিয়ে কটূক্তি করে বক্তব্য দিয়েছেন। তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। এছাড়া মঞ্চে উপস্থিত জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান কোনো প্রতিবাদ না করায় তাকে কিশোরগঞ্জ থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় কিশোরগঞ্জের ছাত্র সমাজকে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
অভি চৌধুরী বলেন, ‘এখনও প্রশাসনে আওয়ামী ফ্যাসিস্টের প্রেতাত্মা রয়ে গেছে। অবিলম্বে তাদের বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। যে শহিদ আবু সাঈদ আমাদের ২৪-এর আন্দোলনের প্রেরণা, তাকে নিয়ে কটূক্তি করে এখনও বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে।’
এর আগে, ১৬ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানের সভাপতিত্বে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিছ আলী ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আবু সাঈদের ছবি না দিয়ে যদি মুক্তিযোদ্ধাদের ছবি দিতো তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি ছিল না। আবু সাঈদ শহিদ হয়েছে? কার সঙ্গে যুদ্ধ করে শহিদ হয়েছে? কোন দেশের সঙ্গে তারা যুদ্ধ করেছে? যারা (২৪ এর) আন্দোলন করেছে, সংগ্রাম করেছে। দেশটাকে এক হাত থেকে আরেক হাতে পরিবর্তন করেছে। তারা এখন আমাদের শাসন করবে। জেলা প্রশাসকের কাছে আমার জিজ্ঞাসা, আবু সাঈদের ছবি কীভাবে আসছে? বিজয় দিবসের দিনে রাস্তা-ঘাটে সব জায়গায় কীভাবে প্রদর্শিত হচ্ছে? এই বলেই আমার বক্তব্য শেষ করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
ছাত্র নেতাদের অভিযোগ, তখন মঞ্চে থাকা জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানসহ কেউ কোনো প্রতিবাদ বা আপত্তি করেননি।
এ ছাড়াও গতকাল রাতে বিজয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলীর বক্তেব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা । তারা বলেন, আবু সাঈদের মত হাজার হাজার ছেলে মেয়ে সেদিন শহিদ হয়েছিল বলেই অপশাসনের অবসান হয়েছে। তা-না হলে ঢাকা দিল্লির রাজধানী হয়ে যেত। শেখ হাসিনা দিল্লির একজন কর্মকর্তা হিসেবে দেশ শাসন করত। আবু সাঈদকে আমরা স্যালুট জানাই।
সারাবাংলা/এইচআই