হানিফ ফ্লাইওভারের ঢালে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:১০
ঢাকা: রাজধানীর সায়দাবাদ এলাকার মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের ঢালে ছুরিকাঘাতে কামরুল হাসান (২৩) নামে এক কাপড় ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। তার কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা ও একটি ফোন খোয়া গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সায়দাবাদ ফ্লাইওভারের ঢালে এই ঘটনা ঘটে।
কামরুল নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড়া গ্রামের ইমাম হোসেনের ছেলে। পরিবারের সঙ্গে কদমতলী রায়েরবাগ এলাকায় থাকতেন। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে কামরুল ছিলেন সবার বড়।
নিহতের বাবা ইমাম হোসেন জানান, ৭-৮ বছর আগে হাফেজি পড়া শেষ করেছিলেন কামরুল। এরপরে মানিকনগরে ফুটপাতে কাপড় ব্যবসা করতেন। বেশ কিছুদিন আগে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল তিনি। বুধবার রাতে কক্সবাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যাগে জামা কাপড় গুছিয়ে বাসা থেকে বের হন। তার বন্ধুরাও সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
তিনি আরও জানান, বাসার সামনে থেকে গুলিস্তান গামী একটি বাসে ওঠেন কামরুল। বাসটি মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে যাওয়ার সময় সায়দাবাদে ফ্লাইওভারের ওপরেই নামেন। সেখান থেকে হেঁটে ফ্লাইওভারের ঢাল দিয়ে নিচে নামার সময় কে বা কারা তার বুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তি তার কাছ থেকে ফোন নাম্বার নিয়ে বাবাকে ফোনে বিষয়টি জানান। তখন তারা সায়দাবাদ ইসলামী হাসপাতালে গিয়ে ছেলেকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান। সেখান থেকে তাকে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো জানান, কামরুলের কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা এবং একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। ছিনতাইকারীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে নাকি পরিকল্পিতভাবে কেউ তাকে এভাবে হত্যা করেছে তিনি তা বলতে পারছি না। তবে কামরুল বাসা থেকে বের হওয়ার সময় কারো সাথে ফোনে তর্কাতর্কি হতে দেখেছেন তার মা।
যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিকুল ইসলাম জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে সায়েদাবাদ ফ্লাইওভারের ঢালে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছিলেন তিনি। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সারাবাংলা/এসএসআর/এমপি