নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অস্পষ্ট: মির্জা ফখরুল
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:২৩
ঢাকা: নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া বক্তব্য অস্পষ্ট এবং হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসিচব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নির্বাচন সংক্রান্ত বক্তব্য অস্পষ্ট। আমি মনে করি যে, এখন ইলেকশন কমিশন গঠন হয়ে গেছে। ইলেকশন পরিচালনা করবার, কনডাক্ট করবার জন্য তার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সে ধরনের কোনো প্রবলেম নাই। অতি দ্রুত সেটা করা সম্ভব। আমরা যেটা আশা করেছিলাম যে, চিফ এডভাইজার সুনির্দিষ্ট একটা সময়ের মধ্যে তার রোড ম্যাপ দিয়ে দেবেন। সেটা তিনি দেননি। এটা আমাদেরকে কিছুটা হতাশ করেছে এবং একই সঙ্গে জাতিকেও কিছুটা হতাশ করেছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘চিফ অ্যাডভাইজার বলেছেন যে, ২৫ সালের শেষের দিকে অথবা ২৬ সালের প্রথম দিকে নির্বাচন হবে। তারপরে তার (প্রধান উপদেষ্টা) প্রেস সচিব বলেছেন, যে ২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তার (প্রেস সচিব) একথা আবার সাংঘর্ষিক হয়ে গেছে। এক্সজেক্টলি আমরা বুঝতে পারছি না যে, কোনটা সঠিক।”
প্রধান উপদেষ্টা যে সময়ের কথা বলছেন এতে কি মনে হচ্ছে যে, সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে কিংবা বিষয়টা আপনাদের কাছে যৌক্তিক মনে হচ্ছে না— সাংবাদিকদের এরকম প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘যৌক্তিক তো মনে হয়নি। আমরা বলেছি তো এটাতে আমরা হতাশ হয়েছি।”
তিনি বলেন, ‘‘স্থায়ী কমিটির সভায় প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সভা মনে করেন যে, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নির্বাচন সংক্রান্ত বক্তব্য অস্পষ্ট। তার বক্তব্যে নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময়ের কথা বলা হলেও নির্বাচনের রোড ম্যাপ সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট বক্তব্য রাখা হয়নি। তিনি নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা ২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের প্রথম অংশ অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন। আবার তার প্রেস সচিব যে কথা বলেছেন, ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এটা পরস্পর বিরোধী।”
‘‘এই ধরনের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য আরও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। স্থায়ী কমিটি মনে করে যেহেতু নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়ে গেছে, সেহেতু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিলম্বের প্রয়োজন নেই। নির্বাচন কেন্দ্রিক সংস্কারগুলো সম্পন্ন করে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। জনগণ এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ হতে সুস্পষ্ট বক্তব্য প্রত্যাশা করে। সভা মনে করে, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময় রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা উচিত’’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সারাবাংলা/এজেড/আরএস