প্রশিক্ষণের জন্য ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে পারে যুক্তরাজ্য
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:২০ | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:১৩
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ব্রিটিশ সেনা ইউক্রেনে পাঠানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিবিসি গণমাধ্যম এমন তথ্য প্রচার করেছে।
প্রতিরক্ষা সচিব জন হিলি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে গিয়ে আগামী বছরের জন্য ইউক্রেনকে আরও সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
যদিও তিনি এই পরিকল্পনার বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, তিনি ইউক্রেনে ব্রিটিশ সেনা পাঠানোর সম্ভাবনার বিষয়কে এড়িয়ে যাননি।
বর্তমানে যুক্তরাজ্য ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ যুক্তরাজ্যেই প্রদান করছে। এছাড়া, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর একটি ছোট মেডিক্যাল টিম ইউক্রেনের ভেতরেই প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য ন্যাটো সদস্যরা এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে সরাসরি সেনা পাঠায়নি বা দেশটির আকাশসীমায় নো-ফ্লাই জোন প্রয়োগ করেনি। রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে, বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্র ইউক্রেনকে অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে।
জন হিলি কিয়েভ সফরে ২২৫ মিলিয়ন মূল্যের অতিরিক্ত সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যার মধ্যে ড্রোন, গোলাবারুদ এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত।
তিনি বলেছেন, ইউক্রেনকে আগামী বছরের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে আনতে কীভাবে সহায়তা করা যায়, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে আরও বেশি অস্ত্র, প্রশিক্ষণ এবং রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত।
প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ব্রিটিশ সেনা পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। তবে বিবিসির সাথে কথা বলার সময় হিলি এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলেননি। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের যৌথ ইউক্রেনীয় পরিকল্পনার বিস্তারিত তথ্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের থেকে গোপন রাখতে হবে।’
মার্কিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধের অবসান ঘটানোর চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিছু পশ্চিমা দেশ আলোচনা করছে, কীভাবে তারা যুদ্ধ শেষ হলে ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) একটি ফোনালাপে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
সারাবাংলা/এনজে