Thursday 19 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আইএমএফ চাইলেও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না : বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:২৯ | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৩৪

ঢাকা : আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চাইলেও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, তবে উৎপাদন খরচ কমিয়ে বিদ্যুতের ভর্তুকি কমানো হবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

জ্বালানী উপদেষ্টা বলেন, দাম বাড়িয়ে বিদ্যুতের ভর্তুকির সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসবে সরকার। সার্বিক সমন্বয়ের মাধ্যমে খরচ কমানো হবে। এখন থেকে দাম বাড়ানোর শুনানি করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না।

উল্লেখ্য, ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের জন্য চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড়ের বিষয়টি আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদ বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হবে। বোর্ডে অনুমোদন হলে ১০ ফেব্রুয়ারি তা ছাড় করা হবে বলে জানা গেছে।

চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়ন, অগ্রগতি পর্যালোচনা ও নতুন ঋণের বিষয়ে দরকষাকষি করতে ৩ ডিসেম্বর থেকে আইএমএফ গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরে আসে।

মিশন শেষে বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধি দলের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির চিত্র খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। দীর্ঘদিনেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মূল্যস্ফীতি, যা আইএমএফের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি। বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক আইএমএফ। অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধি ও ব্যাংক খাতের সংস্কার চলমান রাখতে হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলেও বাংলাদেশের আর্থিক খাতের সংস্কারেই গুরুত্ব দিচ্ছে আইএমএফ। আর্থিকখাতের সংস্কার উদ্যোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সঠিকভাবে খেলাপি ঋণ চিহ্নিত করতে হবে। আর্থিক খাতে পুনর্গঠনের জন্য করতে হবে রোডম্যাপ। বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা ও সুশাসনের প্রতিও জোর দেন আইএমএফের মিশন প্রধান।

জানা যায়, আইএমএফের শর্ত পূরণ করে ১৮ ডিসেম্বর শেষে নিট রিজার্ভ ১৫ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। যেখানে ডিসেম্বর পর্যন্ত দাতা সংস্থাতির লক্ষ্য ছিল ১৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।

সারাবাংলা/জিএস/আরএস

আইএমএফ বিদ্যুত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর