Thursday 19 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মীমাংসার জন্য বসেও হাতাহাতিতে জড়াল শ্রমিকরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:২৬ | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:০৮

বাসশ্রমিক ও অটোরিকশাচালকদের চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনে বসেও হাতাহাতি

রাজশাহী: বাসশ্রমিক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকদের চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনে বসেও হাতাহাতি জড়িয়েছে তারা। এতে দুই পক্ষই তাদের দু’জন করে আহত হওয়ার দাবি করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী নগরীর ষষ্ঠীতলায় মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মামুনুর রশিদের ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষের এই দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য পুলিশ বিএনপি নেতা মামুনকেই দায়িত্ব দিয়েছিল। তবে হাতাহাতির কারণে মীমাংসা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

বিএনপি নেতা মামুনুর রশিদ বলেন, ‘পুলিশের বোয়ালিয়া জোনের ডিসি আমাকে দুই পক্ষকে নিয়ে মীমাংসা করে দিতে বলেছিলেন। সে অনুযায়ী আমি বসি। মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন আসে, কিন্তু সিএনজি চালকদের একটা গ্রুপ আসে, অন্যটি আসেনি। তাই মীমাংসা হবে না বলে দিই।’

তিনি বলেন, ‘এ সময় হঠাৎ হারু গ্রুপ (সিএনজি মালিকদের একটি গ্রুপ) চলে আসে এবং আমার সামনেই মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের দুই-তিন জনকে মারধর করে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যেই মারামারি লেগে যায়।’

জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিক আলী পাখি বলেন, ‘ওরাই সবসময় মারামারি করে, আর দোষ হয় আমাদের। আজ ওরা আমাদের ওপর হামলা করেছে। এতে দু’জন আহত হয়েছেন। এখন রাতে আবার পুলিশ-প্রশাসনের উভয়পক্ষকে নিয়ে বসার কথা।’

রাজশাহী সিএনজি মালিক সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘মীমাংসায় বসে মোটরশ্রমিকেরা আমাদের কথা বলতে দিচ্ছিল না। আমাদেরকেই তারা মারধর করেছে। এতে দু’জন আহত হয়েছেন। এক সিএনজি চালককে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আর কোনো রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে মীমাংসায় বসতে রাজি না। পুলিশ-প্রশাসন থাকবে, আমরা দুই পক্ষ থাকব। এভাবে মীমাংসা করতে হবে। সন্ধ্যার পর ট্রাফিকের ডিসির অফিসে আবার বসার কথা আছে।’

বিজ্ঞাপন

রাজশাহীতে প্রায়ই সিএনজি অটোরিকশার চালক ও বাসের শ্রমিকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। গত সোমবার সিএনজি অটোরিকশার চালকেরা তানোর উপজেলা সদরে বাসের ছয়জন চালক, হেলপার ও কন্ডাক্টরকে মারধর করেন। পরদিন বাস শ্রমিকেরা নগরীর শিরোইল বাস টার্মিনাল থেকে লাঠিসোটা ও হাতুড়ি নিয়ে এসে রেলগেট সিএনজি স্ট্যান্ডে হামলা করেন। তারা ৭০-৮০টি সিএনজি অটোরিকশার কাঁচ ভাঙচুর করে চলে যান।

এর জের ধরে বুধবার রাজশাহীর নওহাটা ব্রিজ এলাকায় বিক্ষোভ করেন সিএনজি চালকেরা। এ সময় দুটি বাসও তখন ভাঙচুর করা হয়। ফলে রাজশাহী-নওগাঁ এবং রাজশাহী-আমনুরা রুটে ফের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে বৃহস্পতিবার থেকে বাস চলছে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার তানোরের ঘটনার পর ১৮ সিএনজি চালকের নামে মামলা হয়েছে। তবে সিএনজি স্ট্যান্ডে হামলার ঘটনায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ করেছে সিএনজি মালিকরা।

সারাবাংলা/পিটিএম

টপ নিউজ বসেও মীমাংসা হাতাহাতি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর