Thursday 19 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখতে বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে’

সারাবাংলা ডেস্ক
২০ ডিসেম্বর ২০২৪ ০১:৫৫

সীমান্তরক্ষার দায়িত্ব সফলভাবে পালনের পাশাপাশি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তারা সীমান্তরক্ষী এই বাহিনীর সার্বিক সাফল্য ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস’ সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে তারা এ বাহিনীর সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

বিজ্ঞাপন

বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও বহির্গমন রোধ, সীমান্তবর্তী সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও শিল্প কারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবির ভূমিকা প্রশংসনীয়।

বিজিবিকে ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ অভিহিত করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিজিবির রয়েছে বীরত্ব, ঐতিহ্য ও গৌরবমণ্ডিত সমৃদ্ধ ইতিহাস। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর রয়েছে অবিস্মরণীয় অবদান। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে হানাদার বাহিনী ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন ইপিআর সদর দফতরে আক্রমণ করে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ও বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফসহ এ বাহিনীর ৮১৭ জন অকুতোভয় সদস্য আত্মোৎসর্গ করে দেশপ্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে গৌরবময় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বাহিনীকে ২০০৮ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধসহ দেশমাতৃকার প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে বিজিবির যেসব সদস্য আত্মত্যাগ করেছেন আমি তাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করছি।

বিজ্ঞাপন

সীমান্তের সার্বিক সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় বিজিবি সদস্যরা সততা, নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন সাহাবুদ্দিন। বলেন, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান রোধ, মাদক ও মানব পাচার প্রতিরোধসহ দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি ও দুর্যোগ মোকাবিলায় এ বাহিনীর দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব জনআস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

এদিকে বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর ভূমিকা অবিস্মরণীয়। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য এ বাহিনীর দুজন বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ ও ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফসহ ১১৯ মুক্তিযোদ্ধা সদস্য খেতাবপ্রাপ্ত হয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর ৮১৭ জন অকুতোভয় সদস্য তাদের জীবন উৎসর্গ করে বিজিবির ইতিহাসকে করেছেন মহিমান্বিত।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণআন্দোলন-পরবর্তী সময়ে সীমান্তবর্তী এলাকাসহ সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবির ভূমিকা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে বলে বাণীতে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, বিজিবি সদস্যরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সমুন্নত রাখতে সর্বোচ্চ দেশপ্রেম, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন— এটাই সবারর প্রত্যাশা। বাসস।

সারাবাংলা/টিআর

প্রধান উপদেষ্টার বাণী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি দিবস রাষ্ট্রপতির বাণী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর