ঢাকা: জাতীয় ও দ্বিপাক্ষিক ওয়াশ অ্যাডভোকেসি প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উদ্যোগের ফলে ওয়াশ (পানি, স্যানিটেশন, এবং হাইজিন) পরিষেবাতে এগিয়ে নেবার বিষয়ে আলোচনার এক দারুণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানায় সংশিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর লেকশোর হোটেল ওয়াটারএইড বাংলাদেশ এর এই প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ওয়াটার এইড বাংলাদেশের আজমান আহমেদ চৌধুরীর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সমাপনী অনুষ্ঠান। এরপর, ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মো. তাহমিদুল ইসলাম টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৬ এর লক্ষ্য, অর্জন এবং অবদানের রূপরেখা তুলে ধরে প্রকল্পের সাফল্য তুলে ধরেন।
মো. তাহমিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সিডব্লিউআইএস-এফএসএম সাপোর্ট সেলের মো. শফিকুল হাসান এবং বুয়েটের আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ নেটওয়ার্কের আলাউদ্দিন আহমেদ। স্যানিটেশন খাতে বিদ্যমান এবং নতুন নতুন চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে সহযোগিতামূলক কৌশল নিয়ে হিসেবে প্রকল্পের ব্যবহারিক প্রয়োগ নিয়ে এতে আলোচনা হয়। আলোচনায় সমস্যার দীর্ঘমেয়াদী সমাধানে সকল পক্ষের সমন্বিত প্রয়াসের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ স্যানিটেশন পরিষেবায় বহুক্ষেত্রীয় অংশীদারিত্বের গুরুত্বের উপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘পৌরসভা পর্যায়ে পানি সরবরাহের পাশাপাশি আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করা জরুরি। নবওয়াশা প্রকল্প যেভাবে স্যানিটেশন অনুশীলনে পদ্ধতিগত পরিবর্তন ও উন্নয়ন এনেছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
তিনি অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশনকে টেকসই করার জন্য সরকারের পাশাপাশি সকল পক্ষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।