কক্সবাজারে রশিদ ছাড়া পৌর হাসিল দিতে রাজী নন মাংস ও সবজি বিক্রেতারা
২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:৫২ | আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৫
কক্সবাজার: কক্সবাজার শহরের মাংস ও সবজির বিক্রেতারা রশিদ ছাড়া পৌরসভার হাসিল দিতে রাজী নন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে বন্ধ পৌরসভার হাসিল আদায়। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হাসিল দিতে নিষেধ করেছন ছাত্রপরিষদ। সেই থেকে সবজি ও মাংস বিক্রেতারা পৌরহাসিল দিচ্ছেন না।
এদিকে গত ৩ ডিসেম্বর থেকে সবজি ও মাংস বিক্রেতা থেকে পৌরসভার হাসিল আদায় করতে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু লোক বাজারে আসছে। তাদের সঙ্গে পৌরসভার লোকজনও রয়েছেন। তারা যার কাছে যেমন পারছেন হাসিল আদায় করছেন। ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। আবার অনেকেই টাকা দেননি।
এরমধ্যে পৌর হাসিলের নামে অস্বচ্ছ কার্যক্রমে তারা ক্ষুব্ধ। এদিকে, হাসিল আদায় নিয়ে বিক্রেতাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা ও সন্দেহ। তারা বলাবলি করেছেন পৌরসভার একটি মহল সুবিধা নিয়ে এই কাজ করছেন না-তো?
জানা গেছে, গত ৩ ডিসেম্বর আবু সাদ্দাম, রমজান ও তৈয়বের নেতৃত্ব ৭-৮ জন মাংস এবং সবজি বিক্রেতাদের কাছ থেকে পৌর হাসিল আদায় করতে আসেন। তারা শহরের বড় বাজার, বাহারছড়া বাজার, খুরুশকুল রাস্তার মাথা, পিটি স্কুল ও কলাতলী বাজারের অন্তত ২০টি মাংসের দোকান ও শতাধিক সবজির দোকানে পৌরসভার নাম বলে হাসিলের জন্য যায়। এসব বাজারের অনেকে তাদের হাসিল দিলেও বেশিরভাগই দেয়নি।
যারা হাসিল আদায় করতে বাজারে আসেন তারা আওয়ামী লীগের লোকজন বলে জানান ব্যবসায়ীরা। জানা গেছে, তারা ইজারাদার। তবে ইজারা নেওয়ার হালনাগাদ কোনো প্রমান দিতে পারেনি হাসিল আদায় করতে আসা লোকজন।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ পৌরসভার একটা মহলকে সুবিধা দিয়ে বিতাড়িত সরকারের গ্রুপটি পৌর হাসিল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি করতে চাইছে।
মাংস বিক্রেতারা বলেন, বড় বাজারোর মাংস বিক্রেতারা এমনিতেই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে মাংস বাজারের মার্কেট ভেঙ্গে ফেলা হয়। ১ বছরের বেশি সময় পার হলেও ভবনের কাজ শেষ হয়নি। বন্ধ রয়েছে কাজ। যে কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
বড় বাজার মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নুর আলম ও সবজি ব্যবসায়ীদের নেতা আবু ছালেহ বলেন, বাজারের বিক্রেতারা হাসিল দিতে রাজি কিন্তু রাশিদ বা সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া টাকা দিতে রাজী নন।
কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বলেন, ‘পৌরসভা আগেও রশিদ দিয়ে বাজারের হাসিল আদায় করেনি। দেশের পরিস্থিতির কারণে গত ৪ মাস পৌর হাসিল আদায় করা হয়নি। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সভা করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে হাসিল আদায়ের সঙ্গে রশিদ দেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/এসআর