প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ভিসি নিয়োগে ৭ দিনের আলটিমেটাম
২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:৩৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে বেসরকারি প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের অগ্রগতি জানাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সাতদিন সময় বেঁধে দিয়েছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন’। এর মধ্যে নিয়োগ সম্পন্ন বা এ বিষয়ে অগ্রগতি না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর জিইসি মোড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের’ ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা এসেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের ব্যানারে কিছু শিক্ষার্থীর আন্দোলনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে গত ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সমাবজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, উপ-উপাচার্য কাজী শামীম সুলতানা এবং কোষাধ্যক্ষ তৌফিক সাঈদ।
এরপর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি আবার চসিকের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ঘোষণা দেন। উপাচার্য পদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কাউকে খোঁজা হচ্ছে, এমন তথ্যও দেন মেয়র।
এ অবস্থায় আন্দোলনকারীরা সংবাদ সম্মেলন ডেকে বলেন, ‘সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্থক্য আছে। ভিসি ছাড়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘসময় চলতে পারে, কারণ সেটা সরাসরি সরকার পরিচালনা করে। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এভাবে চলে না। প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটা ক্যাম্পাস আছে। সকল কর্মকর্তা-কর্মচারির বেতন ভাতাসহ নানাবিধ খরচের বিষয় আছে যাতে ভিসি এবং ট্রেজারারের স্বাক্ষরের প্রয়োজন।’
‘এখন এ বিশ্ববিদ্যালয় যদি বন্ধ হয়ে যায় অবশ্যই এর দায়ভার শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে। এজন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভিসি, প্রোভিসি, ট্রেজারার নিয়োগ দিতে হবে।’
তবে আগের ট্রাস্টি বোর্ড থেকে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হলে আন্দোলনকারীরা সেটা না মানার ঘোষণা দেন।
আন্দোলনকারীদের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী প্রান্ত বড়ুয়া বলেন, ‘আমাদের একটা প্রতিনিধি টিম ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় গিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাদের প্রস্তাব দেওয়া হয় একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও জুলাই স্পিরিট ধারণ করে এমন কাউকে আমাদের ভিসি, প্রো-ভিসি বা ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ দেযার জন্য। কিন্তু প্রায় ১২ দিনেও এ সংক্রান্ত কোনো আপডেট পাইনি। আমরা ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারারের একটা লিস্ট আবারও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে আমাদের এ বিষয়ের একটা অগ্রগতি জানাতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গুম, খুন ও গুপ্তহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানানো হয়েছে।
সারাবাংলা/আরডি/এসআর