রাঙ্গামাটি: পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, শুধু লোক দেখানো পরিবর্তন নয়, সবাইকে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়াই হলো সরকারের প্রধানতম লক্ষ্য।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাঙ্গামাটি জেলা শহরের ঐতিহাসিক ও প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘মোনঘর’ এর ৫০ বছর পূর্তির সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘পার্বত্য এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে আমাদের দায় দায়িত্ব রয়েছে। আমরা সবাই এক সঙ্গে এগিয়ে যেতে চাই। আমি চাই পার্বত্য অঞ্চলে কোয়ালিটি অ্যাডুকেশন, এনভায়রনমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ও লাইভলিহুড এর ওপর কাজ করতে। এসময় তিনি এসকল বিষয়ে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।’
এর আগে, সুপ্রদীপ চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয় ছাত্রাবাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। যে ছাত্রাবাসে এতিম ও দুর্গম এলাকার ছাত্ররা থাকার সুযোগ পাবেন।
অনুষ্ঠানে ‘মোনঘর’র কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- উপদেষ্টার সহধর্মিনী নন্দিতা চাকমা, সেনাবাহিনীর রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শওকত ওসমান, রাঙ্গামাটি জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, পুলিশ সুপার এসএম ফরহাদ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান রিপন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কংকন চাকমা, ধর্মীয় গুরু শ্রদ্ধালংকার মাহাথের, মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয় ও কলেজের পরিচালক ও অধ্যক্ষ অশোক কুমার চাকমা, মোনঘর কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কীর্তি নিশান চাকমা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে একটি হলো চাকমা। ‘মোনঘর’ শব্দটি চাকমা ভাষা। চাকমা ভাষায় ‘মোন’ শব্দের অর্থ হলো পাহাড়, ঘর শব্দের অর্থ বসবাসের স্থান। ৫ দশক আগে পাহাড়ের পিছিয়ে পড়া জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনার সুবাধে আবাসিক বিদ্যালয় গড়ে তোলা হয় স্থানীয় উদ্যোগে; সেটির নাম রাখা হয় ‘মোনঘর’। এখনো পাহাড়ের শিক্ষার বাতিঘর হিসেবে পরিচিত রাঙ্গামাটির এই ‘মোনঘর’।