সাজেকে পর্যটকের ঢল, খালি নেই রিসোর্ট-কটেজ
২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:১৬ | আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:১৭
রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালি পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। রিসোর্ট-কটেজের সব কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে যাওয়ায় খালি নেই কোনো রিসোর্ট-কটেজ।
বর্তমানে তিন হাজারেরও বেশি পর্যটক সাজেকে অবস্থান করছে বলছেন সাজেকের পর্যটন খাতসংশ্লিষ্টরা। আগাম কক্ষ বুকিং ছাড়া সাজেকে বেড়াতে গেলে বিপাকে পড়তে হবে জানিয়েছে সাজেক কটেজ মালিক সমিতি।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, সাজেকে বর্তমানে ১১৬টি রিসোর্ট-কটেজ রয়েছে। এসব রিসোর্ট-কটেজের কক্ষে প্রায় সাড়ে ৪ হাজারের মতো পর্যটক থাকতে পারে। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সব রিসোর্ট-কটেজে আগাম কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
রিসোর্ট-কটেজ মালিকরা জানান, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে সাজেকে পর্যটক আসতে শুরু করেছে। বিশেষত সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে রিসোর্ট-কটেজের সব কক্ষ আগাম ভাড়া হয়ে যাচ্ছে। গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের ছুটি থেকে সব কক্ষ আগাম ভাড়া হয়েছে। সপ্তাহ ধরে রিসোর্ট-কটেজে আগাম বুকিং দেওয়া হচ্ছে, অনেকে কক্ষ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। আগাম বুকিং না নিয়ে যারা বেড়াতে আসছে, তাদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। গত শুক্রবারও অনেক পর্যটককে কক্ষ না পেয়ে পর্যটনের ক্লাব ঘরে, কর্মচারীদের কক্ষ ও মসজিদে রাত কাটাতে হয়েছে।
সাজেক ভ্যালির হিলভিউ রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী ইন্দ্র চাকমা জানান, শীতের শুরুতে ভালো পর্যটক আসতেছে। আমাদের রিসোর্টসহ সাজেকের সব রিসোর্ট কটেজ আগাম কক্ষ বুকিং রয়েছে। কোনো কক্ষ খালি নেই। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে পর্যটকের চাপ বেশি থাকে। গত শুক্রবারে প্রায় দুইশতাধিক মতো পর্যটককে রিসোর্ট কটেজে কক্ষ না পেয়ে বাইরে ক্লাব ঘর, কর্মচারীদের কক্ষে, মসজিদে রাত কাটাতে হয়েছে।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জয় জানান, সাজেকে বর্তমানে প্রায় তিন হাজারের মতো পর্যটক অবস্থান করতেছে। পর্যটনকেন্দ্রের পুরো রিসোর্ট কটেজ শতভাগ বুকিং, কোনো কক্ষ খালি নেই। আগাম কক্ষ বুকিং ছাড়া বেড়াতে আসলে বিপাকে পড়তে হবে। শুক্রবার প্রায় দুইশতাধিক মতো পর্যটক কক্ষ বুকিং না দিয়ে সাজেকে ঘুরতে এসে বিপাকে পড়েছে। পরে কোনো কক্ষ না পেয়ে ক্লাব ঘর, কর্মচারীদের কক্ষে ও মসজিদে থাকতে হয়েছে। তবে কেউ খোলা আকাশে ছিল না। আজকেও কটেজ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে পর্যটনকেন্দ্রে মাইকিং করা হচ্ছে, কেউ যদি কোনো কক্ষ না পেয়ে থাকলে বা রিসোর্ট-কটেজ গুলোতে বেশি দামে ভাড়া নিলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কটেজ মালিক সমিতিকে অবগত করার জন্য। আমরা চাই সাজেকে বেড়াতে এসে যেন কোনো পর্যটক বিপদে না পড়ুক।
সারাবাংলা/এইচআই