ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা
২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:৪৮ | আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:৪৩
মার্কিন সামরিক বাহিনী ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের পরিচালিত ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগার এবং কমান্ড কেন্দ্র লক্ষ্য করে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে।
ইয়েমেনে হামলাটি বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে সংঘটিত হয়েছিল (স্থানীয় সময়ে ১৯ ডিসেম্বর ১১:৩০)।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, এই হামলায় হুথিদের একাধিক ড্রোন এবং লোহিত সাগরের ওপর থাকা একটি অ্যান্টি-শিপ ক্রুজ মিসাইল ধ্বংস করা হয়েছে। হামলায় আমেরিকান এফ/এ-১৮ হর্নেট ফাইটার জেট ব্যবহার করা হয়েছে।
এই হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে হুথিরা ইসরায়েলের দিকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যা তেল আবিবের একটি পার্কে আঘাত হানে এবং ১২ জনের বেশি মানুষ আহত হয়।
ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইসরায়েল ও আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলের ওপর হামলা শুরু করে। তারা দাবি করে, ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড এক বিবৃতিতে জানায়, এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল হুথিদের কার্যক্রম ব্যাহত করা এবং তাদের পরিচালিত হামলাগুলোকে দুর্বল করা। বিশেষ করে, লোহিত সাগর, বাব-আল-মান্দেব এবং গালফ অব এডেনে মার্কিন নৌবাহিনী এবং বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর হুথিদের হামলা প্রতিরোধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় লোহিত সাগরে দুটি জাহাজ ডুবে গেছে এবং আরও কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হুথিরা দাবি করেছে, তারা শুধু ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যুক্ত জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে, যদিও এই দাবি অনেক সময় মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং আরও ১২টি দেশ ‘অপারেশন প্রস্পেরিটি গার্ডিয়ান’ চালু করে, যা লোহিত সাগরের জাহাজ চলাচলকে সুরক্ষিত করার জন্য গৃহীত একটি যৌথ উদ্যোগ।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, ইয়েমেন থেকে নিক্ষিপ্ত একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং এটি তেল আবিবের একটি পার্কে আঘাত হানে।
ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা মাগেন ডেভিড আদম জানায়, হামলায় ১৬ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া সুরক্ষিত স্থানে যাওয়ার পথে আরও ১৪ জন সামান্য আহত হন।
এর আগে, এই সপ্তাহে ইসরায়েল ইয়েমেনের সানা শহরের বন্দর এবং জ্বালানি অবকাঠামোতে হুথি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে একাধিক হামলা চালায়।
হুথি-নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টিভি জানায়, সলিফ বন্দর এবং রাস ইসা তেল টার্মিনালে এই হামলায় নয়জন নিহত হয়েছেন।
গাজা যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত হামলা চলবে বলে হুথিরা জানিয়েছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তাদের সর্বশেষ হামলা মিত্রদের এবং নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার অঙ্গীকারের অংশ।
সারাবাংলা/এনজে