বন্ধ ৬ চিনিকল খুলে দেওয়া শ্রমিকদের ঐতিহাসিক বিজয়
২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:৫১ | আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৩২
ঢাকা:দেশের ৬টি বন্ধ চিনিকল খুলে দেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়েছে জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ। বন্ধ চিনিকল খুলে দেওয়া শ্রমিকদের আন্দোলনের জন্যে এক ঐতিহাসিক বিজয় বলেও মন্তব্য করে সংগঠনটি।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের দাবির প্রেক্ষিতে ‘সরকার কর্তৃক ৬টি বন্ধ চিনিকল খুলে দেওয়ার বিষয়ে দেশবাসীকে অবহিতকরণ ও পরবর্তী করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষে এ কথা বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টাস্কফোর্স সদস্যরা বন্ধ ৬টি চিনিকলের পরিস্থিতি গভীর পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনার পর টাস্কফোর্স ৬টি চিনিকল পর্যায়ক্রমে খুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। প্রথম পর্যায়ে শ্যামপুর, সেতাবগঞ্জ চিনিকল, দ্বিতীয় পর্যায়ে পঞ্চগড়, পাবনা চিনিকল ও তৃতীয় পর্যায়ে কুষ্টিয়া, গাইবান্ধার রংপুর চিনিকল খুলে দেয়ার প্রস্তাব করে প্রতিবেদন শিল্পমন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠায়। পরে শিল্প উপদেষ্টা প্রতিবেদনের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেন ও প্রধান উপদেষ্টার সম্মতি সাপেক্ষে ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বরের স্থগিতাদেশ ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রত্যাহার করা হয় এবং তিনটি পর্যায়ে বন্ধ চিনিকলসমূহ খুলে দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
সরকারি আদেশে বন্ধ হওয়া ৬টি চিনিকল খোলার সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক। এটি চিনি শ্রমিক, আখচাষী ও জাতীয় পর্যায়ে বন্ধ কারাখানা খুলে দেয়ার জন্য গড়ে ওঠা আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক বিজয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরকারের হিসেবে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৯৭০ কোটি টাকা লোকসান করেছে চিনিকলগুলো। সে লোকসানের দায় শ্রমিক-কৃষকদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে কারখানা বন্ধের যুক্তি তৈরি করেছিল তৎকালীন সরকার। আখ চাষীদের ভাষ্যমতে তারা উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে কমদামে অর্থাৎ লোকসানে চিনিকলগুলোকে আখ সরবরাহ করে।
লিখিত বক্তব্যে শ্রমিক নেতারা বলেন, ‘অন্যান্য বন্ধ কারখানা উপযুক্ত আধুনিকীকরণের মাধ্যমে খুলে দেওয়ার লড়াই জারি থাকবে। আমরা অবিলম্বে বন্ধ পাটকলসমূহ খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/এসডব্লিউ