Tuesday 24 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভিডিও কনফারেন্সিং প্রকল্প
দ্বিতীয় দফা সংশোধনীতে ১২ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ার প্রস্তাব

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:২৩

ঢাকা : পরিকল্পনা কমিশনের আপত্তির মুখে পরামর্শক খাতের ব্যয় কমছে ভিডিও কনফারেন্সিং প্রকল্পে। তবে সার্বিকভাবে প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে প্রায় ১২ কোটি টাকা। এটি মূল প্রাক্কলিত ব্যয়ের তুলনায় ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে ২ বছর।

জানা যায়, সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ‘সরকারের ভিডিও কনফারেন্সিং প্লাটফর্ম শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর একনেক সভায় অনুমোদন দেয়া হয়। ওই সময় প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৭ কোটি ৩৪ লাখ ১২ হাজার টাকা। এরপর চলতি বছর জুনে প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী প্রস্তাবে প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে ৪৯ কোটি ৫১ লাখ ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে ব্যয় না বাড়িয়ে প্রকল্পের সময়সীমা ৬ মাস বাড়িয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। বর্তমানে প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাবে সার্বিক প্রকল্প ব্যয় ১২ কোটি ২১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা বাড়িয়ে মোট ৬১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রকল্পের মেয়াদ আরও ২ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে অনেক সময় প্রধান উপদেষ্টা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠক করে থাকেন। এজন্য এটি চলমান রাখা দরকার। এছাড়া এর আগে প্রকল্পটি চলমান রাখতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে মতামত দেওয়া হয়েছিল। সুতরাং সার্বিক গুরুত্বের বিষয়টি বিবেচনা করেই প্রকল্পের ব্যয় ও মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

জানা যায়, প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনীতে একটি নতুন অঙ্গ অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব, ১৪টি অঙ্গ উপঅঙ্গের ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব এবং তিনটি অঙ্গের ব্যয় কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে পরামর্শক সেবা খাতে ৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা এবং তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি সরঞ্জামাদি খাতে ৪ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) আব্দুর রউফ সারাবাংলাকে বলেন, প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও পরামর্শকসহ বিভিন্ন খাতে প্রস্তাবিত ব্যয় কমাতে বলা হয়েছে। সভায় প্রকল্পের বিভিন্ন খাতের ব্যয় বৃদ্ধি বা কমানোর প্রস্তাবের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আমরা বলেছি যে, পরামর্শক খাতে একান্তই যে টুকু ব্যয় না ধরলেই নয়, কেবল সেটুকু ধরতে হবে।

প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রশাসনের অন-লাইন সভা, সেমিনার বা মিটিং ইত্যাদি কাজ শেষ করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সকল বিভাগীয় কমিশনার
কার্যালয় ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়সহ মোট ৭৬টি সরকারি দফতরে ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেমস স্থাপন করা হয়। ভিডিও কনফারেন্সিংগুলো পাবলিক নেটওয়ার্ক ব্যবহারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ সভা সেমিনার মিটিং গুলো একটি সিকিউরড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে শেষ করা এবং দেশের সরকারি সকল নির্বাহী অফিসগুলোকে ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেমসের আওতাভুক্ত করার জন্য বিসিসি ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সালে ইনফো-সরকার ফেজ-২ প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশের ৮০৩টি সরকারি অফিসে ভিডিও
কনফারেন্সিং সিস্টেমস স্থাপন করা হয়। এই সিস্টেম ব্যবহার করে ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সালের মে পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি ভিডিও কনফারেন্সিং সফলভাবে শেষ করা হয়েছে। করোনাকালীন সময় ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের মে পর্যন্ত প্রায় ৮০০ ভিডিও কনফারেন্সিং সফলভাবে শেষ করা
হয়েছে। স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ব্যবহার করে বর্তমান ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেমটির কারিগরি দিক হালনাগাদ করা ও ভিডিও কনফারেন্সিং পরিচালনায় প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল নিয়োগের জন্য এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এছাড়া দূর্যোগ বা আপদকালীন সময়ে ও জরুরি প্রয়োজনে সিকিউরড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্স পরিচালনা কার্যক্রম চলমান রাখা এবং দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবলের মাধ্যমে স্বল্প ব্যয়ে ভিডিও কনফারেন্স সার্ভিস পরিচালনা করা হবে। স্যাটেলাইট প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। স্থায়ী ইউনিট গঠন না হওয়া পর্যন্ত ভিডিও কনফারেন্সিং চলমান রাখা হবে।

সারাবাংলা/জেজে/আরএস

সরকারের ভিডিও কনফারেন্সিং প্লাটফর্ম শক্তিশালীকরণ প্রকল্প

বিজ্ঞাপন

বিল ক্লিনটন হাসপাতালে ভর্তি
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:৩৬

আরো

সম্পর্কিত খবর