‘খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি’
২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:২৮
ঢাকা: শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রার দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তার একান্ত সচিব এবিএম সাত্তার।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে সারাবাংলাকে তিনি এ তথ্য জানান।
এবিএম সাত্তার বলেন, ‘ম্যাডামের বিদেশ যাত্রার দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। যদিও বেশ কয়েকটি মিডিয়া ২৯ ডিসেম্বর, ৩০ ডিসেম্বর বিদেশযাত্রার সম্ভাব্য তারিখ উল্লেখ করে নিউজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের হেলথ্ কন্ডিশন ভালো না। এ অবস্থায় ১৪/১৬ ঘণ্টার জার্নি উনি নিতে পারবেন না। উনি মোটামুটি সুস্থ হলে আমরা চূড়ান্ত দিনক্ষণ নির্ধারণ করতে পারব।’
‘ভিসা-পাসপোর্টসহ আমাদের সব প্রস্তুতি নেওয়া আছে। কেবল স্বাস্থ্যগত কারণে ম্যাডামকে এই লং জার্নিতে নেওয়া যাচ্ছে না। দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে অবশ্যই আপনাদের জানানো হবে’— বলেন এবিএম সাত্তার।
এর আগে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বরাত দিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যম খবর প্রচার করে- ২৯ ডিসেম্বর লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া।
এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এবিএম সাত্তার বলেন, ‘এ রকম খবর প্রকাশ করেছে কয়েকটি মিডিয়া। অথচ আমরা কিছু জানি না। তারা হয়তো এ ধরনে আলোচনা কোথাও থেকে শুনেছে।’
এদিকে, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানকে সারাবাংলাকে বলেন, ‘দলের কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যাডামের বিদেশযাত্রার দিনক্ষণের কথা বলেছেন বলে আমার জানা নেই। তবে, শারীরিক অবস্থা ভালো থাকলে ম্যাডাম খুব শিগগিরই যাবেন।’
গত ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রথমে লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়া হবে।
সেই তৃতীয় দেশটি যে আমেরিকা, সেটা পরিষ্কার হয়েছে সম্প্রতি ঢাকাস্থ আমেরিকার দূতাবাসে গিয়ে বায়োমেট্রিক করে আসার মাধ্যমে। তবে জার্মানিতে এ ধরনের সুযোগ থাকায় লন্ডন থেকে সেখানেও যেতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শারীরিক অবস্থা ভালো থাকলে দেশে ফেরার আগে সৌদি আরব গিয়ে উমরাহ পালনের কথা রয়েছে তার।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাগারে যান খালেদা জিয়া। কারাবন্দির পর শারীরিক নানা জটিলতা দেখা দেয়। পরে বিশেষ বিবেচনায় তাকে বাসায় থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। চলতি বছর ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তন হলে এভারকেয়ারে চিকিৎসাধীন থাকা খালেদা জিয়ার মুক্তির আদেশ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর ২১ আগস্ট সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন তিনি।
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম