Monday 23 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষ: জামিন চেয়েছেন সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:০০ | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৪৮

ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষ: জামিন চেয়েছেন সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম

ঢাকা: গাজীপু‌রের টঙ্গী‌তে বিশ্ব ইজতেমা মাঠে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম ও আব্দুল্লাহ মনসুর হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে আসামিদের আইনজীবী শাহিন হাওলাদার জামিন আবেদন করেন।

এর আগে গাজীপু‌রের টঙ্গী‌তে বিশ্ব ইজতেমা মাঠে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী এস এম আলম হোসেন বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন।

জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরেই তাবলীগ জামাতের মাওলানা সাদ অনুসারীদের টঙ্গীতে জোড় ইজতেমাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা গত ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা জোড় ইজতেমা পালন করেন। এরপর ২০ ডিসেম্বর থেকে মাওলানা সাদ অনুসারীরা জোড় ইজতেমা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলে তাদের প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নেন জুবায়ের অনুসারীরা।

গত ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে সাদ অনুসারীদের ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ ঠেকাতে ময়দানের চারপাশে ও বিভিন্ন সড়কের মোড়ে লাঠি হাতে পাহারা বসায় জুবায়ের অনুসারীরা।

অন্যদিকে, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সাদ অনুসারীরা ইজতেমা ময়দানের উদ্দেশে বাস-ট্রাকে করে মাঠে আসতে থাকে। ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত মধ্যরাতে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সাদ অনুসারীদের গাড়ি আটকে দেন জুবায়েরপন্থিরা। একপর্যায়ে রাত আড়াইটার দিকে মাওলানা সাদ অনুসারীরা ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করলে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দু গ্রামের মৃত ওসমান গণির ছেলে আমিনুল ইসলাম (৬৫), ফরিদপুর সদর উপজেলার কমলাপুর গ্রামের মৃত শেখ সামাদের ছেলে বেলাল হোসেন (৬০) এবং বগুড়া সদর উপজেলার ধাওয়াপাড়া গ্রামের ওমর উদ্দিনের ছেলে তাজুল ইসলাম নিহত হন। এ ছাড়া ওই সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় গ্রুপের অন্তত অর্ধশতাধিক মুসল্লি আহত হয়।

বিজ্ঞাপন

পরে এ ঘটনায় গত ১৯ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষ ও নিহত হওয়ার ঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলাটি করেন মাওলানা জোবায়েরের অনুসারী এস এম আলম হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তিনি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার গাইটাল গ্রামের মৃত এস এম মোক্তার হোসেনের ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার আলমি শুরার সাথি।

মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকশ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন, সাদ অনুসারীদের প্রধান মুরব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, তাঁর ছেলে ওসামা ইসলাম আনু, আবদুল্লাহ মনসুর, কাজী এরতেজা হাসান, মোয়াজ বিন নূর, জিয়া বিন কাশেম, আজিমুদ্দিন, আনোয়ার আবদুল্লাহ, শফিউল্লাহ প্রমুখ।

আসামিরা সবাই সাদ অনুসারীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন।

সারাবাংলা/কেআইএফ

বিশ্ব ইজতেমা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর